21 July TMC Shahid Diwas: সমর্থকদের জন্য জায়ান্ট স্ক্রিন-স্বেচ্ছাসেবক, শেষধাপে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি
সমাবেশে থাকছে হাজার খানেক ভলেন্টিয়ার। তাদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক করলেন পুলিস কর্তারা
প্রবীর চক্রবর্তী ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দূরের জেলাগুলি থেকে সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও সেন্ট্রাল পার্কে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিস ও তৃণমূল কর্মীরা।
কয়েক দিন ধরেই ধর্মতলায় সমাবেশ মঞ্চের জায়গাটি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। এবার মঞ্চের আয়তন অন্যবারের তুলনায় বড়। তৈরি হয়েছে তিন ধাপের মঞ্চ। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা, জনতাকে সামলানো ও যান নিয়ন্ত্রণ। গোটা বিষয়টি তদরাকির জন্য গত দুদিন মঞ্চ তৈরির এলাকা ঘুরে গিয়েছেন পুলিস কমিশনার ও পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা।
সমাবেশের আগে সমাবেশ মঞ্চ পরির্দশনে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এনিয়ে আজ দুপুরে প্রশাসনের তত্পরতা লক্ষ্য করা গেল অনুষ্ঠান মঞ্চের কাছে।
করোনার কারণে গত ২ বছর প্রকাশ্যে একুশে জুলাইয়ের সভা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এবার সমাবেশে লোকসংখ্য়া অন্যান্য বারকে ছাপিয়ে যাবে। অন্যদিকে, এই সভার রাজনৈতিক সাফল্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর একাটই প্রথম একুশের সমাবেশ এবং ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে নেত্রী কী বার্তা দেয় সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশাল সমাবেশে বহু তৃণমল সমর্থক চাইবেন নেত্রীকে কাছ থেকে দেখতে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। তাই পার্ক স্ট্রিট, ডোরিনা ক্রসিং সহ বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে জায়ান্ট স্ক্রিন। সামাবেশে থাকবেন বাইরের রাজ্যের নেতারাও। ফলে নিরাপত্তা ব্যব্স্থা অত্যন্ত জোরদার করা হচ্ছে। তৈরি করা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আজ বিকেল থেকে ধর্মতলা চত্বরে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আগামিকাল সকাল থেকে এই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। ছোটখাটো কিছু বিষয় ছাড়া প্রায় প্রস্তুত একুশের মঞ্চ।
সমাবেশে থাকছে হাজার খানেক ভলেন্টিয়ার। তাদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক করলেন পুলিস কর্তারা। সমাবেশে থাকা ভলেন্টিয়ারদের বিশেষ টি শার্ট দেওয়া হবে। দেওয়া হবে পরিচয় পত্র। এরা থাকবেন সভামঞ্চের কাছাকাছি। এদের প্রত্যেকের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক। মূল মঞ্চের পাঁচ দিকে দায়িত্বে থাকবেন তৃণমূল যুব নেতারা। বৃহস্পতিবার বারোটা থেকে সভা শুরু। কিন্তু লোকজন আসতে শুরু করবে ভোর থেকেই। ফলে ভলেন্টিয়ারদের খুব সকালেই মঞ্চের কাছাকাছি চলে আসতে বলা হয়েছে।
সমাবেশের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় বলেন, একুশে জুলাই আমাদের কাছে ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। এর সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এই সময় আবহাওয়া ভালো থাকে না। তার মধ্যেও আমাদের কর্মীরা সমাবেশে এসে হাজির হন। সবাইকে বলব, যারা পারবেন তারা আসুন। যারা আসতে পারবেন না তারা টিভি বা অন্য়ান্য মাধ্যমে দেখুন। তাড়াহুড়ো করে বিপদ ডেকে আনবেন না। সবাই সবাইকে সহযোগিতা করুন।
আরও পড়ুন-সর্বাধিক রান তাড়া করে জয়, আবদুল্লা শফিকের অপরাজিত শতরানে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান