Kolkata: জেলে বসেই টাকা চেয়ে হুমকি! অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসল লালবাজার
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সি জেলের বিচারাধীন বন্দী সুশান্ত কির্তানিয়া ওরফে ঢোলুকে বুধবার রাতেই নিজেদের হেফাজতে নেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়।
রণয় তেওয়ারি: টাকা চেয়ে হুমকি ফোন করছে। এমনকী টাকা না দিলে দলবল বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালাবে বলে হুমকিও দিচ্ছে। আর এই সমস্তটাই করছে জেলে বসে। এমন গুরুতর অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসল লালবাজার। কিছুদিন আগে, ঠিক এই ধরনেরই একটি অভিযোগ পেয়ে সতর্ক হন লালবাজারের কর্তারা। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সি জেলের বিচারাধীন বন্দী সুশান্ত কির্তানিয়া ওরফে ঢোলুকে বুধবার রাতেই নিজেদের হেফাজতে নেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়।
সূত্রের খবর, পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা বাড়ি মেরামত করার কাজ করছিলেন। ওই মহিলাকে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত এপ্রিল মাসে প্রথম ফোন আসে। গত সপ্তাহে এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের হয়। শুধু তাই নয়, এই রকম হুমকি ফোন প্রেসিডেন্সি জেলের ভেতর থেকে আরও কয়েকজনের কাছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বুধবার দেরিতে মুম্বাইয়ের কান্দিভালি পশ্চিমে একটি পরিবারের তিন সদস্য এবং তাদের ড্রাইভারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা পুলিশ সন্দেহ করে যে ড্রাইভারের দ্বারা একটি ইচ্ছাকৃত কাজ ছিল যে তার জীবন শেষ করার আগে তিনজনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।
সুশান্ত জেলে বসেই বিভিন্ন জনকে ফোন করে টাকা চেয়ে হুমকি দিত বলে অভিযোগ। কে এই সুশান্ত কীর্তনিয়া? ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্চাসায়ার থানা এলাকায় ঠিক বাড়ির সামনেই খুন হন বিশ্বরূপ দাস নামে বছর ২৫ এর এক প্রোমোটার। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সুশান্ত কির্টানিয়া ওরফে ঢোলুকে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগই রয়েছে।
সূত্রের খবর, পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার অজয় নগর, বিবেকানন্দ পার্ক, সার্ভে পার্ক ও পঞ্চাসায়র এর মতো এলাকা গুলিতে বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যেত তাকে। শুধু সুশান্ত একা নয় সঙ্গে থাকত তার দলবল। সুশান্ত এলাকায় ঢোলু নামেই পরিচিত। আগে দালালি করত। পরে সাটটা খেলার সঙ্গেও যুক্ত হয়। এলাকায় তোলাবাজি করে বেড়াত। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট ব্যাবসার সঙ্গেও যুক্ত হয়।
এমনকি, রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনের সময়ে এলাকায় বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো, মারধরের অভিযোগও রয়েছে এই ঢোলুর বিরুদ্ধে। বিশ্বরূপ দাসের খুনের ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম এই সুশান্ত ওরফে ঢোলু।
কিন্তু ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে জেলের ভেতরের নিরাপত্তা নিয়ে। জেলের মধ্যে মোবাইল এলো কোথা থেকে? তবে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও দেখা গিয়েছে কোনও না কোনও দাগি আসামি জেলে বসেই ফোন করে হুমকি দিত। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন, Kolkata: পড়াশোনার চাপ না মায়ের সঙ্গে ঝগড়া? কলেজছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ধোঁয়াশা