'হাটে বাজারে' এক্সপ্রেসে 'প্যাসেঞ্জার এক পাইথন'
বিহারের সহরসা জংশন থেকে পশ্চিমবাংলার রাজধানী কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন, দূরত্বটা ৫৮৯ কিলোমিটার। সহরসা জংশন থেকে হাটে বাজারে এক্সপ্রেসে বসে শিয়ালদহ স্টেশনে নামতে সময় লাগে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। ট্রেন দাঁড়ায় অন্তত ৩০টি স্টেশনে। লোক ওঠে নামে, আর ট্রেন চলে গড়ে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। একটা নরম দুলুনি ট্রেনের ভিতরে অনুভুতি হয়। অনেক চেনা মুখ। তার মধ্যেই অচেনা এক বস্তা। সেই বস্তার ভিতর বসে, শুয়ে একদম এলাহিভাবে আয়েস করেছেন পাইথন। একেবারে যেন রিজার্ভেশন টিকিট! টেরই পেলেন না যাত্রীরা। শিয়ালদহ স্টেশনে গোটা কামরা ফাঁকা। তাও পরে আছে ওই বস্তা। আর তাতেই আছে পাইথন।

শিয়ালদহ: বিহারের সহরসা জংশন থেকে পশ্চিমবাংলার রাজধানী কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন, দূরত্বটা ৫৮৯ কিলোমিটার। সহরসা জংশন থেকে হাটে বাজারে এক্সপ্রেসে বসে শিয়ালদহ স্টেশনে নামতে সময় লাগে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। ট্রেন দাঁড়ায় অন্তত ৩০টি স্টেশনে। লোক ওঠে নামে, আর ট্রেন চলে গড়ে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। একটা নরম দুলুনি ট্রেনের ভিতরে অনুভুতি হয়। অনেক চেনা মুখ। তার মধ্যেই অচেনা এক বস্তা। সেই বস্তার ভিতর বসে, শুয়ে একদম এলাহিভাবে আয়েস করেছেন পাইথন। একেবারে যেন রিজার্ভেশন টিকিট! টেরই পেলেন না যাত্রীরা। শিয়ালদহ স্টেশনে গোটা কামরা ফাঁকা। তাও পরে আছে ওই বস্তা। আর তাতেই আছে পাইথন।
বস্তার ভিতর থেকে উঁকি মারা পাইথনকে দেখে ভয়ই পেয়েছিলেন এক রেলকর্মী। পরে খবর দেওয়া হয় রেল পুলিসকে। ঘটনাস্থলে আসে বনবিভাগের কর্মীরা। উদ্ধার করা হয় পাইথনটিকে। বনবিভাগের কর্মী জানান এতটা পথ এসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে পাইথন, শরীর ভালো নেই। চিকিৎসার জন্য পাইথনটিকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে।
কিন্তু কীভাবে হাটে বাজারে এক্সপ্রেসে ১৬ ঘণ্টা জার্নি করে এল পাইথন? তদন্ত শুরু করেছে রেল। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান পাচার করা হচ্ছিল পাইথনটিকে।