কুণালের আত্মহ্যার চেষ্ঠা- কয়েকটা প্রশ্ন...
কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টা ঘিরে উঠে আসছে বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন। কীভাবে জেলের নজরদারি এড়িয়ে এতগুলো ঘুমের ওষুধ হাতে পেলেন ওই হাই প্রোফাইল বন্দি ? তাঁর সেলে কি কড়া নজরদারির ব্যবস্থা ছিল না ? কুণালের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরেও কীভাবে কারামন্ত্রী বলেছিলেন, বাড়তি নিরাপত্তার দরকার নেই? এসব প্রশ্নের জেরে রীতিমতো চাপে রাজ্য সরকার।

কলকাতা: কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টা ঘিরে উঠে আসছে বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন। কীভাবে জেলের নজরদারি এড়িয়ে এতগুলো ঘুমের ওষুধ হাতে পেলেন ওই হাই প্রোফাইল বন্দি ? তাঁর সেলে কি কড়া নজরদারির ব্যবস্থা ছিল না ? কুণালের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরেও কীভাবে কারামন্ত্রী বলেছিলেন, বাড়তি নিরাপত্তার দরকার নেই? এসব প্রশ্নের জেরে রীতিমতো চাপে রাজ্য সরকার।
কুণাল ঘোষ আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর, এই প্রতিক্রিয়া ছিল রাজ্যের কারামন্ত্রী হায়দর আজিজ সফির। কিন্তু বজ্র আঁটুনি যে আদতে ফস্কা গেরো, তা পরিষ্কার হয়ে গেল শুক্রবারই। জেলের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন সারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ।
গত সন্ধে থেকে একটা একটা করে তিরিশ-চল্লিসটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন তিনি। চিকিত্সকদের এমনটাই জানিয়েছেন কুণাল। কিন্তু কীভাবে একজন হাই প্রোফাইল বিচারাধীন বন্দি এমন কাণ্ড ঘটালেন? ঘটনার পর থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে আসছে।
জেলের রুল বুক অনুযায়ী, কোনও বিচারাধীন বন্দিকে ওষুধ দিলে তা কর্তৃপক্ষের সামনে দিতে হবে। সেই ওষুধ খেয়ে সই করে দেবেন বন্দি। কিন্তু কুণাল ঘোষের কাছে এতোগুলি ঘুমের ওষুধ এলো কীভাবে?
একজন বিচারাধীন বন্দি বিকেল থেকে ওষুধ খাচ্ছেন। তা কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল জেল কর্তৃপক্ষের? তার মানে কি, কড়া পর্যবেক্ষণ ছিল না কুণাল ঘোষের ওপর?
অচৈতন্য কুণাল ঘোষকে বাড়তি কোনও রকম সতর্কতা ছাড়াই প্রিজন ভ্যানেই হাসপাতালে আনা হয়। জেল হাসপাতালে কেন কোনও অ্যাম্বুলেন্স ছিল না?
নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিচারাধীন বন্দি জেলের ভিতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বা অন্য বন্দির সঙ্গে মারামারি করে আহত হলে, তা জানানোর কথা বন্দির আইনজীবী এবং তাঁর পরিবারকে। এ ক্ষেত্রে তা করা হল না কেন?
কুণাল ঘোষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, হেস্টিংস থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কেন তাঁর আইনজীবীকে জানানো হল না?
কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁর আইনজীবীকে দেখা করতে দেওয়া হল না কেন?
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর অবশ্য কুণাল ঘোষের দেহ তল্লাসিতে রীতিমতো গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে। এবার থেকে কড়া নজরদারিতে কুণাল ঘোষকে ওষুধ খাওয়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে। পাশাপাশি কুণাল ঘোষের সেলে থাকবে সিসিটিভির নজরদারি।