সোনাগাছির যৌনপল্লীর বাড়িতে হানা আয়কর বিভাগের, নজিরবিহীন হানায় ছুটছুট রব
কর ফাঁকি দিয়ে সোনাগাছি এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে আয় হওয়া কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের কাজে। দিন কয়েক আগে এমনই অভিযোগ পৌছয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে। তদন্ত নেমে আজ ওই এলাকার দশটি বাড়িতে অভিযান চালায় কমিশনের খরচ সংক্রান্ত নজরদারি কমিটি এবং আয়কর বিভাগ। তল্লসিতে মিলেছে নগদ দেড় কোটি টাকা এবং বিপুল পরিমাণ হিসাব-বর্হিভূত সম্পত্তির হদিশ ।
কর ফাঁকি দিয়ে সোনাগাছি এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে আয় হওয়া কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের কাজে। দিন কয়েক আগে এমনই অভিযোগ পৌছয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে। তদন্ত নেমে আজ ওই এলাকার দশটি বাড়িতে অভিযান চালায় কমিশনের খরচ সংক্রান্ত নজরদারি কমিটি এবং আয়কর বিভাগ। তল্লসিতে মিলেছে নগদ দেড় কোটি টাকা এবং বিপুল পরিমাণ হিসাব-বর্হিভূত সম্পত্তির হদিশ ।
বৃহস্পতিবার সকালে আয়কর বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের চল্লিশ জন আধিকারিকের একটি বিশেষ দল সোনাগাছি এলাকার ১০৩টি বাড়িতে হানা দেয়। অভিযোগ, এই বাড়িগুলির ভাড়া বাবদ মালিকদের আয় মাসে পঁচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকা । বাড়িভাড়া ছাড়াও বিভিন্নভাবে বাড়িমালিকেরা প্রতি মাসে আরও কয়েকলক্ষ টাকা উপার্জন করেন বলে খবর। অথচ কোনও আয় বাবদই কর দেন না মালিকেরা। বৃহস্পতিবার এইসব বাড়ির মালিকদের আটক করে বিকেল পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বহুতল বাড়িগুলিতে গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টি ঘর থাকে। এবং যৌনকর্মীদের ঘর পিছু ভাড়া দিতে হয় মাসে সত্তর হাজার থেকে দেড়লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে বাড়ি ভাড়ার কোনও রশিদ দেন না বাড়ির মালিকেরা। এভাবেই চলছে করফাঁকির ব্যবস্থা।
নির্বাচন কমিশনের কাছ খবর, এই বিপুল পরমান কালো টাকার একটা বড় অংশ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কাজে লাগানো হচ্ছে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি এই অভিযান চালানো হয়। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযান শুধুমাত্র বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধেই, যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে নয়। সোনাগাছির মতো এলাকায় এইধরণের অভিযান এই প্রথম।