আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি! রানাঘাট কাণ্ডের তদন্তভার নিতে নারাজ সিবিআই, অবাক নবান্ন
রানাঘাট কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে শুরু হল সিবিআই-রাজ্য প্রশাসন সংঘাত। রাজ্যের আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি। এই যুক্তিতে তদন্তভার নিতে নারাজ সিবিআই। রাজ্যের পাল্টা দাবি, কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়নি। বরং সিবিআই-এর অভিযোগে রীতিমতো বিস্মিত নবান্নের কর্তারা।
ব্যুরো: রানাঘাট কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে শুরু হল সিবিআই-রাজ্য প্রশাসন সংঘাত। রাজ্যের আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি। এই যুক্তিতে তদন্তভার নিতে নারাজ সিবিআই। রাজ্যের পাল্টা দাবি, কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়নি। বরং সিবিআই-এর অভিযোগে রীতিমতো বিস্মিত নবান্নের কর্তারা।
খাগড়াগড় কাণ্ড, সারদা কেলেঙ্কারির পর এবার রাণাঘাট কাণ্ডের তদন্ত নিয়েও কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর। খাগড়াগড় ও সারদায় কেন্দ্রীয় তদন্তের বিরোধিতা করেছিল রাজ্য। আর রাণাঘাটে রাজ্য চাইলেও তদন্তে নারাজ সিবিআই। তারা বলছে,
সিবিআই-এর যুক্তি, কেন সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন, তা আবেদনের চিঠিতে লেখা হয়নি নিয়মমতো চিঠিতে অপরাধের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়নি রাজ্যের সংস্থার তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্টও দেওয়া হয়নি
আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও অপরাধীর বাংলাদেশের পালানোর সম্ভাবনার উল্লেখ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই পদ্ধতিগত ত্রুটিরই উল্লেখ করেছে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর।
তবে সেই অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্য। রাজ্যের পাল্টা দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেই ১৮ মার্চ সিবিআই-কে চিঠি দেন স্বরাষ্ট্রসচিব
১৯ মার্চ চিঠি দিয়ে সিবিআই জানায়, তদন্তভার হাতে নিচ্ছে তারা
রাজ্যকে দিল্লি স্পেশাল পুলিস আইনের ৬ নম্বর ধারায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলে কর্মিবর্গ দফতর।
২৩ মার্চ ৬ নম্বর ধারায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার
রাজ্যের দাবি, ১৯ মার্চের পর সিবিআই-র তরফে কোনও চিঠিই পায়নি তারা।
রাজ্যের দাবি, তাদের আবেদনে কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি নেই। এদিকে, সিবিআই সূত্রেও খবর, তাদের অনীহার কারণ অন্য।
কেন তদন্তে অনীহা?
ঘটনার অনেক পরে রাজ্য তদন্তের সুপারিশ করায় অনেক তথ্যপ্রমাণই নাকি নাগালের বাইরে।
তাই তদন্তভার হাতে নিলে কার্যত কানাগলি থেকে পথ খুঁজতে হত সিবিআই-কে। যা তারা চাইছে না। তবে শেষপর্যন্ত রানাঘাটকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হবে কি হবে না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরই।