সারদাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি শাসক দলেই, ভ্রূক্ষেপ নেই শীর্ষনেতৃত্বের
সারদাকাণ্ডে সরকার তথা শাসক দল যে চরম অস্বস্তিতে তা নিয়ে কার্যত কারোরই দ্বিমত নেই। জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদের নাম। অস্বস্তি ঢাকতে দলের একাংশ চাইছে ব্যবস্থা নেওয়া হোক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তেমন কোনও পদক্ষেপ দলের শীর্ষনেতৃত্বের ভাবনায় নেই বলেই সূত্রের খবর।
সারদাকাণ্ডে সরকার তথা শাসক দল যে চরম অস্বস্তিতে তা নিয়ে কার্যত কারোরই দ্বিমত নেই। জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদের নাম। অস্বস্তি ঢাকতে দলের একাংশ চাইছে ব্যবস্থা নেওয়া হোক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তেমন কোনও পদক্ষেপ দলের শীর্ষনেতৃত্বের ভাবনায় নেই বলেই সূত্রের খবর।
সারদাকাণ্ডের জেরে রাজ্যের শাসক দলের ভাবমূর্তিতে লেগেছে কালির ছিঁটে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন ``আমানতকারীদের বলব আসল টাকা তুলে নিন এই ধরনের সংস্থা থেকে`` রাজনৈতিক মহলের মত, শুধু এধরনের পরামর্শে যে চিঁড়ে ভিজবে না তা বুঝতে বাকি নেই শাসক দলের নেতানেত্রীদের। কারণ নাম জড়িয়েছে দলেরই অনেকের। তালিকার প্রথমদিকে উঠে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা সারদার মিডিয়া গোষ্ঠীর সিইও কুণাল ঘোষের নাম।
প্রয়োজনে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, দলের অন্দরে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে কুণাল ঘোষকে বহিষ্কারের দাবি। তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে দলেরই একাংশ। চিটফান্ড কেলেঙ্কারির অস্বস্তি থেকে দলের মুখরক্ষায় এটাই প্রাথমিক পদক্ষেপ হওয়া উচিত বলে মত ওই নেতাদের।
কিন্তু কী ভাবছে শীর্ষনেতৃত্ব? তার কিছুটা আভাস অবশ্য পাওয়া গেছে। কুণাল ঘোষের দাবি, তিনি সারদার মিডিয়া গোষ্ঠীতে শুধুই মাইনে করা কর্মচারী ছিলেন। সেই সুরই তো শোনা যাচ্ছে পুরমন্ত্রীর গলায়। সিইও-র মতো শীর্ষ পদে থাকা কুণাল ঘোষকে তিনিও তো চাকরি করা কর্মচারী বলেই সম্বোধন করছেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্রের গলায় যে সুর শোনা গেছে তা থেকে অনেকটাই স্পষ্ট, নাম জড়ালেও অভিযুক্তদের শাস্তির পথে দল মোটেই হাঁটছে না।