শর্ট স্ট্রিট কাহিনি বেহালাতেও, চুরি হয়ে গেল স্কুলবাড়ি
ছিল একটা আস্ত স্কুল। রাতারাতি তা বন্ধ হয়ে চলে গেল প্রোমোটারের দখলে। তৈরি হবে বহুতল। শর্ট স্ট্রিট কান্ডের রেশ মিটতে না মিটতেই শহরের বুকে আরও একটি স্কুলে প্রমোটারের থাবা। বার ঘটনার অকুস্থল বেহালার স্কুল। এখানেও সব জেনে নিশ্চুপ পুলিশ। আদালতের নির্দেশ সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে অভিযোগকারীদের কপালে জুটছে অনবরত হুমকি।
ছিল একটা আস্ত স্কুল। রাতারাতি তা বন্ধ হয়ে চলে গেল প্রোমোটারের দখলে। তৈরি হবে বহুতল। শর্ট স্ট্রিট কান্ডের রেশ মিটতে না মিটতেই শহরের বুকে আরও একটি স্কুলে প্রমোটারের থাবা। বার ঘটনার অকুস্থল বেহালার স্কুল। এখানেও সব জেনে নিশ্চুপ পুলিশ। আদালতের নির্দেশ সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে অভিযোগকারীদের কপালে জুটছে অনবরত হুমকি।
বেহালা থানার উল্টোদিকের বনমালি নস্কর রোড। সেই রাস্তার উপরে কয়েক কাঠা জমির ওপরে এই বাড়িতেই ছিল ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চিলড্রেন ভিলা। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন সমিতির একাংশের যোগসাজসে চুপিসাড়ে এবছরের অগষ্ট মাসে হঠাত্ই স্থানীয় প্রমোটার বাপি সাহার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় স্কুলবাড়িটি। কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে হয় গোটা লেনদেন। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। গোটা ঘটনা পুলিশকে জানিয়ে কোনও ফল না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন স্কুল পরিচালন সমিতির এক সদস্য।
আদালত ইতিমধ্যেই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ। উল্টে নিয়মিত চলছে হুমকি। এলাকায় প্রোমোটার বাপি সাহার দাপট এতটাই যে স্কুলের ঠিক উল্টোদিকে তার বাড়ি হলেও কেউ চিনিয়ে দিতে রাজি নয়। এমনকী, স্কুল পরিচালন সমিতির যে সদস্যার বিরুদ্ধে স্কুল বিক্রির অভিযোগ, বাড়ি গিয়ে দেখা মেলেনি তাঁরও। সব মিলিয়ে আস্ত একটা স্কুলবাড়ি দিনেদুপুরে বিক্রি হয়ে গেল। আদালতের নির্দেশ সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিল না প্রশাসন। উল্টে অনবরত চলছে হুমকি। শর্ট স্ট্রীট কান্ডের পরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের।