মোদীর-শাহর আশীর্বাদ! পদ না পেয়েও আলাদা ঘর মুকুলের

৬ মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেই বাড়িরই দোতলায় অফিস সেক্রেটারির ঘরের পাশের ঘরটি বরাদ্দ হল তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতার জন্য। আর এই ঘটনাকে রাজ্য বিজেপিতে 'বেনজির' বলছেন দলেরই একাংশ।

Updated By: Nov 20, 2017, 08:53 PM IST
মোদীর-শাহর আশীর্বাদ! পদ না পেয়েও আলাদা ঘর মুকুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: মাথার উপর মোদী-অমিত শাহর আশীর্বাদের হাত থাকলে ঘর জুটতে বেগ পেতে হয় না। বিজেপি কার্যালয়ে মুকুল রায়ের আলাদা ঘর প্রাপ্তি ঘিরে এই কথাটা এখন হাড়েহাড়ে বুঝেছেন মুকুলকে আলাদা ঘর দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতারা। তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে মুকুল আশ্রয় পেয়েছেন নভেম্বরের ৩ তারিখ। আর আজ বিজেপির রাজ্য দফতরে নিজের জন্য আলাদা ঘর পেলেন মুকুল রায়। ৬ মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেই বাড়িরই দোতলায় অফিস সেক্রেটারির ঘরের পাশের ঘরটি বরাদ্দ হল তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতার জন্য। আর এই ঘটনাকে রাজ্য বিজেপিতে 'বেনজির' বলছেন দলেরই একাংশ। কোন বিশেষ পদে না থাকায় মুকুলকে প্রথমটায় আলাদা ঘর দিতে রাজি হয়নি রাজ্য নেতৃত্বের একটা অংশ। কিন্তু 'কাজের ছেলে' মুকুলের জন্য অবিলম্বে ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে, এমন ধমকই আসে দিল্লি থেকে। আর তারপরই দ্রুত ঘর পেলেন মুকুল।  

মুকুূলের অপেক্ষায় তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘর।

প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে ঘোর আপত্তি রয়েছে রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতার, এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। সে জন্যই নাকি মুকুলকে দলে নিতে দেরি হচ্ছিল বিজেপির। কিন্তু সে সব বাধা পেরিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে পদ্ম শিবিরে প্রবেশ করেছেন মুকুল। দলে আসার পরপরই রানি রাসমণি রোডের সভায় 'লোক এনে' এবং মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর প্রতি আঘাত হেনে নতুন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বাহবা কুড়িয়েছেন মুকুল রায়। আর এতেই নাকি কেল্লাফতে।

ঘরের দরজায় সাঁটা হয়ে গেছে মুকুলের নাম।

দিন কয়েক আগে গুজরাটের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রচার করতে গিয়েছিলেন 'কেন্দ্রীয় নেতা' মুকুল। যাত্রাপথে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে দেখা হয়ে যায় অমিত শাহর সঙ্গে। সূত্রে খবর, অমিতের কানেও গিয়েছে রানি রাসমণির সভায় 'মুকুল ম্যাজিকে'র কথা। আর তাই দেখা হতেই মুকুলের পিঠও চাপড়ে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি। এসবের মধ্যেই দলীয় কার্যালয়ে ঘর পেলেন মুকুল রায়। ফলে, মুকুলের এই ঘর প্রাপ্তিকে 'ইঙ্গিতপূর্ণ' বলে মনে করছেন দলের একাংশ।

আরও পড়ুন- ‘’যাঁরা অভিষেকের নামে বাবাকে বলতেন, তাঁরাই এখন আমার নামে বলছেন’’

এমনিতে বিশেষ পদাধিকারী না হলে আলাদা ঘর পাওয়ার নিয়ম নেই বিজেপিতে। বর্তমানে বিজেপির রাজ্য দফতরে আলাদা ঘর রয়েছে কেবল বর্তমান সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের বর্তমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহার এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (অর্গানাইজেশন)-এর। আর এরপর ঘর পেলেন কেবল মুকুল, তাও কোনও পদে না থেকেই। ফলে অনেকেই বলছেন, নিজের 'ক্ষমতা প্রমাণ করে ঘর অর্জন করলেন' পোড় খাওয়া রাজনীতিক মুকুল রায়।

আরও পড়ুন-সুজন চক্রবর্তীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে হাসপাতালে মুকুল রায়

.