তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকরে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শঙ্কুদেব পণ্ডাকে
একেবারে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকরে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। আজই সিবিআই দফতরে গিয়ে সারদা কাণ্ডে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের নাম দিয়ে এসেছিলেন। সেইজন্যই সম্ভবত, রাতে একেবারে নাটকীয় কায়দায় দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তাঁকে তৃণমূল ভবন ছাড়ার নির্দেশ। দলের কোনও মিটিং, মিছিলে যেতে মানা করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে দলের কেউ যেন যোগাযোগ না রাখেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: একেবারে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকরে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। আজই সিবিআই দফতরে গিয়ে সারদা কাণ্ডে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের নাম দিয়ে এসেছিলেন। সেইজন্যই সম্ভবত, রাতে একেবারে নাটকীয় কায়দায় দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তাঁকে তৃণমূল ভবন ছাড়ার নির্দেশ। দলের কোনও মিটিং, মিছিলে যেতে মানা করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে দলের কেউ যেন যোগাযোগ না রাখেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও সারদা কাণ্ডে তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রীরা জেল খেটেছেন। দল কখনও পাশে দাঁড়িয়েছে। কখনও এড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু এভাবে দল থেকে রাতারাতি ছেঁটে ফেলার নজির নেই। শঙ্কু ছাত্র নেতা হয়ে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছিলেন। সারদায় জড়িয়ে দলকে অস্বস্তিতেও ফেলেছেন। এর আগে ১১ বার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। কিন্তু ১২তম দিনে এসে, সব গুলিয়ে গেল। নেত্রী বলেছিলেন, ব্যক্তি চোর হতে পারে, দল নয়। সেই কথাকেই কি প্রোফেশর শঙ্কুকে সরতে হল? নাকি, জেরায় দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের নাম করার ফল তাঁকে পেতে হল? জল্পনা চলছে, চলবে। কিন্তু ঘটনা হল, মিডিয়া থেকে রাজনীতিতে এসে দলনেত্রীর সুনজরে থেকে একের পর এক হার্ডল পেরিয়ে দলে বড় জায়গা করেও শেষ পর্যন্ত পা পিছলে গেল শঙ্কুর।
তার আগে মাত্র ১২ দিনেই ডিগবাজি খেয়েছিলেন শঙ্কু। সারদায় সুবিধাভোগী বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম CBI কে দিয়ে এসেছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। CBI সূত্রে খবর, তালিকায় রয়েছেন শাসক দলের বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক। শঙ্কুদেবের পূর্ণাঙ্গ বয়ান রেকর্ড করেছে CBI। দুপুর সাড়ে বারোটায় আজ সিজিও কমপ্লেক্সে যান তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক। বেরোন দুপুর আড়াইটেয়। এই দুঘণ্টায় কী হয় ভিতরে?
সিবিআই সূত্রে খবর, সারদা থেকে পাওয়া টাকার প্রমাণ হিসেবে তদন্তকারীদের কাছে নথি জমা দিয়েছেন শঙ্কুদেব। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর জেরায় ফাঁস করেছেন শাসক দলের একাধিক বিধায়ক ও সাংসদের নাম। তদন্তকারীরা বলছেন, তৃণমূল ভবনের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে সুদীপ্ত সেন ও শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানেন শঙ্কুদেব। তার সবই আজ তিনি জানিয়েছেন। শঙ্কুর দেওয়া তথ্যগুলি বিচার করে দেখতে ফের একবার সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
ঢুকলেন যখন চোখে মুখে দুশ্চিন্তা। বেরোনোর সময় দুশ্চিন্তা উধাও। দুঘণ্টায় আমূল বদল? কী হল ভিতরে?
কী হল ভিতরে? শঙ্কু স্পিকটি নট?
প্রকাশ্যে নো কমেন্টস। কিন্তু, সিবিআই সূত্রে খবর, ভিতরে শঙ্কুদেব বলেছেন। যথেষ্টই বলেছেন।
কী বললেন?
কতটা বললেন?
২ ডিসেম্বর ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। সারদা নিয়ে শঙ্কুর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগও ওঠে। মাত্র বারো দিনে কী করে বদলে গেল ছবিটা?