বিদেশ যেতে বাধা! বিমানবন্দর থেকে ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা
গম্ভীর একটি ইডি সমনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যেখানে তাকে কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় পাঁচ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়। আদালতের কাছে তিনি কলকাতায় হাজির হওয়ার অনুমতি চান। তিনি দাবি করেন যে তিনি কলকাতায় বসবাস করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তৃনমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মানেকা গম্ভীরকে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে বাধা দেয় ইডি। বিদেশ যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় তাকে। একটি মানি লন্ডারিং মামলায় তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য সমন হস্তান্তর করা হয় তাকে। সরকারী সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ ব্যাংকক যাওয়ার ফ্লাইটে উঠতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন গম্ভীর। রবিবার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দ্বারা তার বিরুদ্ধে জারি করা লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) এর ভিত্তিতে তার অভিবাসন ছাড়পত্র প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে বাধা দেন এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) জানানো হয়। এর পরে তারা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তার সঙ্গে কথা বলে সংস্থা এবং তার ভ্রমণের অনুমতি দিতে তারা অস্বীকার করে বলে জানা গিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের কয়লা চুরির মামলার সঙ্গে জড়িত একটি অর্থ পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন দেওয়া হয় তাকে। সোমবার সকাল ১১ টায় কলকাতার সল্টলেক অঞ্চলের তাদের অফিসে এজেন্সির সামনে উপস্থিত হওয়ার সমন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি বিমানবন্দর থেকে তার কলকাতার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন বলে জানা গিয়েছে।
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত গম্ভীরকে জেরা করেনি ইডি। যদিও একই মামলায় সিবিআই এর আগে তাকে জেরা করেছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট অগস্টে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল যে গম্ভীরকে দিল্লিতে নয় কলকাতায় তাদের আঞ্চলিক অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে যেন কোনঅ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Garden Reach: ১৪ ঘণ্টায় ১৭ কোটি পার! গার্ডেনরিচে শেষ ইডি-র ম্যারাথন তল্লাশি
গম্ভীর একটি ইডি সমনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যেখানে তাকে কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় পাঁচ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়। আদালতের কাছে তিনি কলকাতায় হাজির হওয়ার অনুমতি চান। তিনি দাবি করেন যে তিনি কলকাতায় বসবাস করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি এবং তার স্ত্রী রুজিরাকে এই মামলায় আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি এবং কলকাতা দুই জায়গাতেই ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গম্ভীরের মতোই আদালত থেকে একই রকম সুযোগ পাওয়ার পরে রুজিরাকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে এই মামলাটির তদন্তও করছে ইডি। অনুপ মাজিকে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কাছে কুনুস্টোরিয়া এবং কাজোরার ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের খনিগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কয়লা চুরি-সংক্রান্ত অর্থ পাচারের মামলার মূল চক্রি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।