আইএএস-এ নাম তুলে বেহালার গর্ব আর এক সৌরভ

ভালবাসেন রান্না করতে। সময় পেলেই ছবি আঁকেন। কাজ করেন কলকাতা পুরসভায় জুনিয়র অ্যাসিস্টান্ট হিসেবে। কিন্তু চারপাশে মধ্যমেধার ভিড়ে তিনি ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম তাঁর মেধার জন্যই। তাই মাত্র ৩ মাসের প্রস্তুতিতেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অনায়াসে বাজিমাত করেন তিনি। তিনি, বেহালা পাঠকপাড়ার বাসিন্দা সৌরভ দে। বাইশ গজের মহারাজের পর বেহালাবাসীর নতুন গর্ব।

Updated By: Jun 6, 2012, 11:49 AM IST

ভালবাসেন রান্না করতে। সময় পেলেই ছবি আঁকেন। কাজ করেন কলকাতা পুরসভায় জুনিয়র অ্যাসিস্টান্ট হিসেবে। কিন্তু চারপাশে মধ্যমেধার ভিড়ে তিনি ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম তাঁর মেধার জন্যই। তাই মাত্র ৩ মাসের প্রস্তুতিতেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অনায়াসে বাজিমাত করেন তিনি। তিনি, বেহালা পাঠকপাড়ার বাসিন্দা সৌরভ দে। বাইশ গজের মহারাজের পর বেহালাবাসীর নতুন গর্ব।
সাউথ পয়েন্ট থেকে সেন্ট টমাস কলেজ। বি`টেক-এর পর একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পান। অল্প দিনেই বুঝতে পারেন এই মধ্য মেধার ভিড়ে তিনি বেমানান। চাকরি ছেড়ে মাত্র ৩ মাসের প্রস্তুতিতেই বসে পড়েন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়। এর মাঝে চাকরি পান কলকাতা পুরসভায়। গত ৩ জুন। আর আশ্চর্যজনক ভাবে পরের দিনই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোয়। বেহালার সৌরভ ৫০১ র‌্যাঙ্ক করেন দেশের সবথেকে এলিট সরকারি চাকরির পরীক্ষায়।
 
অনেক দিক থেকেই আর পাঁচটা বাঙালির চেয়ে সৌরভ অন্যরকম। পড়াশুনো, চাকরির মধ্যেই তাঁর আস্ত একটা রান্নাঘর আছে, যেখানে তাঁর অনায়াস বিচরণ। সাদা ক্যানভাস রঙে ভরিয়ে তোলা তাঁর প্যাশন। সৌরভ এখনও পুরসভার কর্মী। কয়েকমাস পরেই কাউন্সেলিং। তারপর চৌকো-চ্যাপ্টা মধ্যবিত্ত জীবনের গতানুগতিকতা আর মধ্যমেধা থেকে অনেক দূরে! আপাতত তারই অপেক্ষায় সৌরভ দে।

.