SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির দায় কার, আদালত চত্বরে খোলসা করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ
SSC Scam: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর বিরুদ্ধে শক্তিশালী কোনও প্রমাণও হাজির করতে পারেনি সিবিআই। আজ আদালতে এমনটাই সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সিবিআই উত্থাপন করে প্রভাবশালী তত্ত্ব....
পিয়ালি মিত্র: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে জেলে স্থান হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল টাকা, নথি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্য়মে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তাতে আঙুল উঠছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। কিন্তু সেই দায় নিয়ে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার আদালত থেকে বেরিয়ে সেই কাথাই বললেন পার্থবাবু।
আরও পড়ুন-আমার কোনও ইগো নেই, নীতীশ-তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক শেষ বিরোধী জোট নিয়ে বার্তা মমতার
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি এখনও বলছি মন্ত্রী হিসেবে এই দুর্নীতিতে আমার কোনও ভূমিকা নেই। বোর্ড পরিচালনার ভার আমার নয়। বোর্ড তার নিজস্ব নিয়মে চলে। সেখানে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। নিয়োগ কর্তাও মন্ত্রী নন। এক বছরেও কিছু হল না। অর্পিতার বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই টাকার উত্স কী তা আপনারাই খোঁজ করুন।
উল্লেখ্য, আগেও যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালত চত্বরে এসেছেন বা তাঁর আইনজীবী যখন কথা বলেছেন তখন এই কথাই শোনা গিয়েছে। আজও পার্থ ফের সেই কথাই বললেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যদি দোষ প্রমাণ হয় তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে পার্থ বলেন, একবছর তো হয়ে গেল! আজ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করতে গিয়ে প্রায় এই কথাই বলছিলেন। তিনি বলেন, গত জুলাই মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোনও অগ্রগতি নেই। মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগে তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন প্রশ্ন করা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে জেলা সফর করছেন, টানা দুমাস গ্রাম বাংলার মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন সেই উদ্যোগ সম্পর্কে তাঁর কী মত? পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিষেকের ওই কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন ও ওই কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের তরফে আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে বলা হয়, নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রভাবশালীরা যদি জামিন পান তাহলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক জেলা নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। পাশাপাশি ইডি-সিবিআইয়ের জালে পড়েছেন কুন্তল ঘোষ, শান্তুনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেতা নেতা। অয়ন শীলের মতে প্রমোটার। তার অফিস থেকে অ্য়াডমিট কার্ড ও ওএমআর শিপ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা তাঁর দলের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন। তাঁর দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তুলছেন জেলার এক নেতা। ফলে তদন্ত সংস্থার এখন দেখার বিষয় হল, চাকরি দেওয়ার নাম করে যে টাকা তোলা হয়েছে সেই টাকা শেষ পর্যন্ত গিয়েছে কোথায়। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্ফোরক কিছু বলে দিয়েছেন তার কোনও প্রামণ দিতে পারেনি সিবিআই।