গোয়েন্দাদের হাতে সুদীপ্তর মার্সেডিজ বেঞ্জ
রাজ্যে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির জন্য জেরায় বিভিন্ন লোককে দোষারোপ করেছেন সারদাকর্তা। সংস্থার আর্থিক দুরাবস্থার জন্য কারা কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন তার হিসেবও দিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। কিন্তু তিনি নিজেও যে বিলাসব্যাসনে জীবনযাপন করতেন, তার একের পর এক প্রমাণ উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে।
রাজ্যে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির জন্য জেরায় বিভিন্ন লোককে দোষারোপ করেছেন সারদাকর্তা। সংস্থার আর্থিক দুরাবস্থার জন্য কারা কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন তার হিসেবও দিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। কিন্তু তিনি নিজেও যে বিলাসব্যাসনে জীবনযাপন করতেন, তার একের পর এক প্রমাণ উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে।
সংস্থার চরম আর্থিক দুরবস্থার সময়েও কোটি কোটি টাকার গাড়ি কিনেছেন সারদা কর্তা। যার নবতম সংযোজন মার্সেডিজ বেঞ্জের একটি গাড়ি। হরিয়ানার নম্বর প্লেটের গাড়িটি মার্সেডিস বেঞ্জ কোম্পানির একেবারে অত্যাধুনিক মডেল। নয়া প্রযুক্তির ইথ্রিফাইভজিরো সেডান মডেলের এই গাড়িটির দাম শুরুই হয় ৩৯ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা থেকে। তবে আরও সুযোগ সুবিধা চাইলে এই গাড়ির দাম হতে পারে এককোটি উনত্রিশ লক্ষ তেত্রিশ হাজার টাকা। সাতটি স্পিড গিয়ারের টপএন্ড এই গাড়িকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গাডির তালিকায় ফেলা হয়। চালক সহ পাঁচজনের এই গাড়িতে রয়েছে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের যাবতীয় বন্দোবস্ত। প্রতিটি যাত্রীর দেহের আকার বা বসার ধরন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় উপায়ে বদলে যায় সিটের আকৃতিও। দক্ষিণ কলকাতার যতীন দাস রোডের একটি গ্যারেজ থেকে সোমবার রাতে ইথ্রিফাইভজিরো মডেলের গাড়িটি উদ্ধার করে বিধাননগর পুলিস।
এর আগে এই সংস্থার আরও প্রায় ৪০টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে বিধাননগর পুলিস। চল্লিশটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্যের অন্যান্য থানাও। তবে এই প্রথম উদ্ধার হল মার্সেডিজ বেঞ্জের ইথ্রিফাইবজিরোর মতো বিলাসবহুল গাড়ি । গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গাড়িটি ছেলে শুভজিতের ব্যবহারের জন্য কিনেছিলেন সারদা কর্ণধার। হাতে গোনা কয়েকবার গাড়িটি নিজে ব্যবহার করলেও সাধারণত শুভজিতই ব্যবহার করতেন এই গাড়ি। সুদীপ্ত সেন এরকম আরও কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি নামে-বেনামে কিনেছিলেন বলেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সেই গাড়িগুলির হদিশ পেতে এখন রীতিমতো তল্লাসি চালাচ্ছেন তারা।