ইডির বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে সই করানোর অভিযোগ আনলেন জেল বন্দী সুদীপ্ত সেন
জেল হেফাজতে ভয় দেখিয়ে নথিতে সই করিয়েছেন ইডির এক অফিসার। অভিযোগ তুললেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। আলিপুর থানায় সুদীপ্ত সেনের ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে FIR নথিভুক্ত করেছে কলকাতা পুলিস। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইডি। তাদের সন্দেহ, এর পিছনে হাত রয়েছে রাজ্য সরকারের। সব মিলিয়ে সারদা তদন্ত নিয়ে ফের একবার রাজ্য কেন্দ্র সংঘাতের সুর। VO: আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার চিত্তরঞ্জন গড়াইয়ের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার আলিপুর থানায় অভিযোগের চিঠি জমা দেন সুদীপ্ত সেন। তাঁর অভিযোগ,
জেল হেফাজতে ভয় দেখিয়ে নথিতে সই করিয়েছেন ইডির এক অফিসার। অভিযোগ তুললেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। আলিপুর থানায় সুদীপ্ত সেনের ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে FIR নথিভুক্ত করেছে কলকাতা পুলিস। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইডি। তাদের সন্দেহ, এর পিছনে হাত রয়েছে রাজ্য সরকারের। সব মিলিয়ে সারদা তদন্ত নিয়ে ফের একবার রাজ্য কেন্দ্র সংঘাতের সুর। VO: আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার চিত্তরঞ্জন গড়াইয়ের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার আলিপুর থানায় অভিযোগের চিঠি জমা দেন সুদীপ্ত সেন। তাঁর অভিযোগ,
বাইশে এপ্রিল সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে আলিপুর সংশোধনাগারে দেখা করেন ইডি অফিসার দেবব্রত ঝা। দেবব্রত ঝা সুদীপ্ত সেনকে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত দুটি নোটিস দেন।
মার্চ মাসের বারো ও কুড়ি তারিখ লিখে তাঁকে নোটিসে সই করতে বলা হয় বলে দাবি সুদীপ্ত সেনের। তাঁর অভিযোগ, পুরনো তারিখ লিখে সই করতে অস্বীকার করলে তাঁর ছেলে শুভজিতের জামিন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখান ওই অফিসার। স্ত্রী ও ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দিয়ে তাঁকে পুরনো তারিখে সই করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই তত্পর হয় কলকাতা পুলিস।
ইডির ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একশো ছেষট্টির এ ধারার FIR নথিভুক্ত করেছে কলকাতা পুলিস। কোনও সরকারি কর্মচারী কারোর ক্ষতির উদ্দেশ্যে আইনভঙ্গ করলে এই জামিনযোগ্য ধারা প্রয়োগ করা হয়।
অপরাধ প্রমাণে ছমাস থেকে দুবছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে।
এর আগে শ্যামল সেন কমিশনের কাছে একই অভিযোগ তুলেছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কারা দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শ্যামল সেন কমিশন। কারা দফতরের রিপোর্টেও তদন্তকারী অফিসারকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বলে খবর।
কারা দফতরের অভিযোগ, ইডির তদন্তকারী অফিসার নিয়ম মেনে নথিদুটি জেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সই করায়নি। নিয়ম অনুযায়ী জেল হেফাজতে কোনও বন্দিকে নথি সই করাতে হলে, সেই নথিতে জেল আধিকারিকের সই থাকতে হয়। এক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ কারা দফতরের।
অন্যদিকে, ইডি সূত্রে খবর সেদিন নিয়ম মেনে জেল আধিকারিকের উপস্থিতিতেই সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে নথি সই করানো হয়। এই অভিযোগকে তদন্ত সারদাকাণ্ডে তদন্ত ব্যাহত করার প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। এর পিছনে রাজ্যের হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ তাঁদের। ইডি কর্তাদের দাবি, প্রয়োজনে আদালতে উপযুক্ত নথি পেশ করে প্রমাণ করে দেবেন, তাঁরা কোনও নিয়ম ভঙ্গ করেননি।