সুদীপ্ত মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট কমিশনে জমা পড়ল না
ফের কাঠগড়ায় কলকাতা পুলিস। পুলিস হেফাজতে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনে জমা পড়ল না। নগরপালকে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। পুলিসি তদন্তে এখনও কিছু ধোঁয়াশা থেকে যাওয়ায় রিপোর্ট জমা পড়েনি।
ফের কাঠগড়ায় কলকাতা পুলিস। পুলিস হেফাজতে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনে জমা পড়ল না। নগরপালকে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। পুলিসি তদন্তে এখনও কিছু ধোঁয়াশা থেকে যাওয়ায় রিপোর্ট জমা পড়েনি।
আইন অমান্য করতে গিয়ে পুলিসি হেফাজতে মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় মানবাধিকার কমিশন। সাতদিনের মধ্যে নগরপালের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। কিন্তু সাতদিন কেটে গেলেও এখনও রিপোর্ট জমা পড়েনি। এখনও তদন্তে রয়ে গেছে বেশ কিছু ধোঁয়াশা। যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে পারল না কলকাতা পুলিস।
সুদীপ্তর মৃত্যুতে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। বাসচালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং গাফিলতির কারেণে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। আর এসএফআই কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
সুদীপ্তর মৃত্যুতে পুলিসকে দায়ী করে এসএফআই সমর্থকদের করা মামলার তদন্ত করছে গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। বাস চালকের বিরুদ্ধে এবং এসএফআই সমর্থকদের বিরুদ্ধে দুটি মামলার তদন্ত করছে গুণ্ডা দমন শাখা এই তদন্ত করতে গিয়েই তৈরি হয়েছে বেশকিছু ধোঁয়াশা।
বাস চালকের সঙ্গে কথা বলেও গোয়েন্দারা বুঝতে পারছেন বাসটি অতটা বাঁদিকে গেল কী করে? এই ধোঁয়াশা কাটতে পারত যদি জেলের সামনে বসানো ক্যামেরায় বাসের ছবি পাওয়া যেত। কিন্তু কোনও ক্যামেরাতেই বাসের ছবি আসেনি।
উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়া একটি বাস থেকে ধাক্কা খেলে পোস্টের উত্তর দিকে ধাক্কা খাওয়ার কথা। কিন্তু ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দাগ দিয়েছেন পোস্টের উত্তর-পশ্চিম দিকে। ওই জায়গায় ধাক্কা কীভাবে লাগে ?
বাসের গেটে সুদীপ্ত এক ছিলেন না। অনেকেই ছিলেন। সেই অবস্থায় অনেকেই ঝুলতে থাকলে শুধু সুদীপ্তর কেন আঘাত লাগল ? তাঁর পাশে থাকা অন্যরাও আহত হতেন। কিন্তু তা হয়নি।
ইতিমধ্যেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। ময়নাতদন্ত থেকে এই ঘটনা কীভাবে ঘটে তাও পরিস্কার হয়নি। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা প্রথম থেকেই বলেছেন বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয় সুদীপ্তর। কিন্তু গোয়েন্দারা এখনও সে বিষয়ে স্পষ্ট নন। সেকারণেই মানবাধিকার কমিশনে রিপোর্ট জমা দিতে পারল না পুলিস।