বন্ধ বেতন, আর্থিক অনটনে আত্মহত্যা সিটিসি কর্মীর

শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল সিটিসির কর্মী গোপালচন্দ্র দের। মঙ্গলবার রাতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর স্টোর হেল্পার গোপালবাবু। বকেয়া পাওনা ছিল আরও কিছু। রাজ্যের ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরিবহণ নিগমের সঙ্কট চরমে।

Updated By: Nov 25, 2012, 10:09 AM IST

শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল সিটিসির কর্মী গোপালচন্দ্র দের। মঙ্গলবার রাতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর স্টোর হেল্পার গোপালবাবু। বকেয়া পাওনা ছিল আরও কিছু। রাজ্যের ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরিবহণ নিগমের সঙ্কট চরমে। তারই মাশুল দিলেন বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর স্টোর হেল্পার গোপালচন্দ্র দে। । শনিবার সন্ধেয় মৃত্যু হয় তাঁর। তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না। বকেয়া ছিল বোনাস-ডিএ-ও। ছেলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফিসটুকুও যোগাড়া করতে পারেননি তিনি। চরম আর্থিক অনটনের জেরে মানসিক অবসাদ থেকে গোপালচন্দ্র দে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরিবহণ সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে যে মনোভাব নিয়ে চলছে রাজ্য সরকার তার সমালোচনা করেছেন ক্যালকাটা ট্রাম ওয়ার্কাস ইউনিয়নের নেতা সুবীর বসু।
চরম আর্থিক অনটনের জেরে এই নিয়ে সাতজন পরিবহণ কর্মী মারা গেলেন। তাদের মধ্যে দুজন চিকিত্সা করাতে না পেরে। বাকি পাঁচজন রোগে ভুগে। এঁনারা সকলেই পেনশন ভোগী ছিলেন। দীর্ঘ দীর্ঘদিন টাকা না পাওয়ায় মানসিক অবসাদ তাদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তাদের পরিবার-পরিজনরা।

.