কালই দিকশূন্যপুরে বিলীন হয়ে যাবেন নীললোহিত

এখনও পিস হাভেনে শায়িত সবুজ দ্বীপের রাজা। কাল তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সকাল পৌনে এগারোটা থেকে বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে শেষশ্রদ্ধা জানাবে তাঁর অগনিত অনুরাগী। তারপরই দিকশূন্যপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন নীললোহিত।

Updated By: Oct 23, 2012, 09:04 PM IST

এখনও পিস হাভেনে শায়িত সবুজ দ্বীপের রাজা। কাল তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সকাল পৌনে এগারোটা থেকে বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে শেষশ্রদ্ধা জানাবে তাঁর অগনিত অনুরাগী। তারপরই দিকশূন্যপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন নীললোহিত।
দীর্ঘ দু দশক দক্ষিণ কলকাতার এই বাড়িতেই কাটিয়েছেন সুনীল। এখানে বসেই জীবনের নানা  বাঁক তুলে ধরেছেন তাঁর কাব্যে, তাঁর গদ্যে। মৃত্যুর পরের দিন সেখানেই তাঁর স্মৃতিচারণ। মানুষজন ভালবাসতেন ভীষণ। তাই বুধবার সকাল থেকেই  তাঁর বাড়িতে মানুষজনের ভিড়। কে বলল সুনীল নেই! এঁদের কথায়, স্মৃতিতে শুধুই সুনীল।
 
 
তিনি চলে গিয়েছেন। কিন্তু অক্ষয় হয়ে রয়েছেন আমাদের স্মৃতিতে। বাংলা সাহিত্যের সবুজ দ্বীপের রাজা এখন পিস হাভেনের ঠান্ডা ঘরে চিরঘুমে আচ্ছন্ন।
বৃহস্পতিবার সকাল নটায় পিস হাভেন থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে আনন্দবাজার পত্রিকার দফতরে। তারপর সেখান থেকে সকাল দশটা পঁয়তাল্লিশে রবীন্দ্রসদন। সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সেখানেই শায়িত থাকবেন নীললোহিত। তারপর সাহিত্য অ্যাকাডেমি হয়ে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।
 
বুধবার সকালে বস্টন থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছন তাঁর ছেলে। সঙ্গে পরিবারের আরও আত্মীয়স্বজন। সারাটা দিনই অসংখ্য লোকের আনাগোনা। সমাজের কোন কোন স্তরে তিনি বিচরণ করতেন বাড়ির বৈঠকখানায় একবার চোখ বোলালেই সেই ছবি ধরা পড়েছে। কফিহাউসের আড্ডা থেকে সাহিত্য সৃষ্টির রসদ পেতেন তিনি। সারা জীবন ঘুরে বেড়িয়েছেন এখানে সেখানে। যেন পায়ের তলায় সর্ষে..
অনেক রহস্যভেদ না করেই ছোটদের কাকাবাবু চলে গেলেন।  বাকি রয়ে গেল ছোটদের মহাভারত লেখার কাজটা।
 
আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। তারপরই দিকশূন্যপুরে বিলীন হয়ে যাবেন নীললোহিত। কিন্তু তিনি থেকে যাবেন নীরার সঙ্গে, ভূবনডাঙার মাঠে। নবীন কিশোর তোমায় দিলাম ভূবনডাঙার মেঘলা আকাশ। তোমাকে আমার তোমার বয়সী সবকিছু দিতে বড় সাধ হয়।

.