সুশান্তরঞ্জন 'আউট', আলাপন 'ইন', অ্যাডভান্টেজে তৃণমূল
তিন পুরসভার ভোটপর্বে নাটকীয় মোড়। চাপের মুখে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়। ভোটপ্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রেখে এভাবে নির্বাচন কমিশনারের ইস্তফা এককথায় নজিরবিহীন। এজন্য শাসকদলের দিকেই ঘুরিয়ে আঙুল তুলেছেন বিদায়ী কমিশনার।
ব্যুরো: তিন পুরসভার ভোটপর্বে নাটকীয় মোড়। চাপের মুখে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়। ভোটপ্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রেখে এভাবে নির্বাচন কমিশনারের ইস্তফা এককথায় নজিরবিহীন। এজন্য শাসকদলের দিকেই ঘুরিয়ে আঙুল তুলেছেন বিদায়ী কমিশনার।
একই অঙ্গে এত রূপ!
প্রথমে বিরোধীদের ঘেরাওয়ে সুর নরম। রাত পোহাতেই সেই তিনিই রীতিমতো কড়া। আবার গণনা স্থগিত ঘোষণার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই শাসক দলের পাল্টা আন্দোলনে তাঁরই গলায় উল্টো সুর। গত তিনদিনে এভাবেই বারবার রঙ বদলেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
অবশেষে ইস্তফা
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সুশান্তরঞ্জন ছিলেন কার্যত বেপাত্তা। অফিসেও যাননি। ফোনেও ধরা দেননি। এরপরেই সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় সটান হাজির রাজভবনে। কিন্তু আচমকা কেন পদত্যাগ করলেন তিনি? ঘনিষ্ঠ মহলে বিদায়ী সুশান্তরঞ্জন বলেন, "সোমবার ডেপুটেশনের সময় শাসক দলের নেতারা আমার ঘরে ঢুকে টেবিল চাপড়ে অভব্য আচরণ করেন। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত"। শাসক দলের চাপের কথা পরোক্ষে কবুল করেন সুশান্তরঞ্জন নিজেও।
তড়িঘড়ি নিয়োগ
তড়িঘড়ি তত্পর হয় রাজ্য সরকার। ভুটানে সফরের মাঝেই মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র জানান। নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাতেই অস্থায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। বুধবার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি।
অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল
নির্বাচন কমিশনার পদে থাকার সময় মীরা পাণ্ডের সঙ্গে তীব্র সংঘাত বাধে রাজ্য সরকারের। এরপরেই পছন্দের অফিসার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়কে কমিশনার পদে বসায় তৃণমূল সরকার। এবার অস্থায়ী কমিশনার হচ্ছেন আইএএস আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে তিনিও সরকারের গুডবুকে। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবেই নির্বাচন কমিশনে নিয়ন্ত্রণ যথারীতি বহাল রাখল শাসকদল।