প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রবীণ সন্ন্যাসী স্বামী জিতাত্মানন্দ মহারাজ
ছাত্রদের কাছে পরিচিত ছিলেন শ্যামল মহারাজ নামে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রবীণ সন্ন্যাসী স্বামী জিতাত্মানন্দ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকেই আজ ভোরে রামকৃষ্ণলোকে চলে গেলেন জিতাত্মানন্দ মহারাজ।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতেই Corona Vaccine দেওয়া শুরু হতে পারে দেশে, জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী
৭০ সালে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে শিক্ষক হিসেবে তাঁর যোগদান। ছাত্রদের কাছে পরিচিত ছিলেন শ্যামল মহারাজ নামে। শুধু দেশে নয়। বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন শ্যামল মহারাজের ছাত্ররা। নরেন্দ্রপুরের পাশাপাশি অন্যান্য মিশনেও শিক্ষকতা করেছেন শ্যামল মহারাজ।
একাধারে শিক্ষাবিদ, ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এবং একজন সক্রিয় সামাজিক কর্মী ছিলেন মহারাজ। তিনি বহু আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শূন্য নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান ছিলেন স্বামী জিতাত্মানন্দ মহারাজ।জাতীয় বিজ্ঞান শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান হিসাবেও ছিলেন তিনি।
১৮৯৬ তে প্রবদ্ধ ভারত নামে একটি মাসিক ইংরেজি প্রত্রিকার কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর এই মাসিক ইংরেজি প্রত্রিকার সম্পাদক পদেও ছিলেন তিনি (১৯৮৭-১৯৯৯) ছিলেন। একটি নিমন্ত্রণে তিনি সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া (১৯৯৪) এবং আবার হংকং, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি এবং নিউজিল্যান্ড (১৯৯৫) সফর করেন। সেই সময়ে প্রায় ৪০টি ইনস্টিটিউশনে বেদ, মর্ডান ম্যানেজমেন্ট, এবং মর্ডান সাইন্স বিষেয়ক বক্তব্য রেখেছেন ১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কা সরকারের নিমন্ত্রণে যান তিনি। ১৯৯৯ সালে শিকাগোতে শিকাগোর মেয়র আয়োজিত International Millennium Celebration-এ ভারত সরকারের প্রধান প্রতিনিধি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল স্বামী জিতাত্মানন্দ মহারাজ।