রাজ্যে ছড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু, হেলদোল নেই স্বাস্থ্য দফতরের
তিন বছর পর ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু। বুধবার উত্তর কলকাতার কাশীপুরের বাসিন্দা এক প্রৌঢার শরীরে মিলেছে এইচ ওয়ান এন ওয়ান ভাইরাস। এই নিয়ে গত দু-সপ্তাহে রাজ্যে সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়াল তিন। তবে সংক্রমণ বাড়লেও হেলদোল নেই স্বাস্থ্য দফতরের। রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে সতর্ক করেই দায় সেরেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। বেলেঘাটা আইডি ছাড়া, রাজ্যের কোনও হাসপাতালেই এখনও পৌঁছয়নি সোয়াইন ফ্লু প্রতিষেধক।
তিন বছর পর ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু। বুধবার উত্তর কলকাতার কাশীপুরের বাসিন্দা এক প্রৌঢার শরীরে মিলেছে এইচ ওয়ান এন ওয়ান ভাইরাস। এই নিয়ে গত দু-সপ্তাহে রাজ্যে সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়াল তিন। তবে সংক্রমণ বাড়লেও হেলদোল নেই স্বাস্থ্য দফতরের। রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে সতর্ক করেই দায় সেরেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। বেলেঘাটা আইডি ছাড়া, রাজ্যের কোনও হাসপাতালেই এখনও পৌঁছয়নি সোয়াইন ফ্লু প্রতিষেধক।
আক্রান্তের নাম সন্ধ্যা সেন। কাশীপুরের বাসিন্দা বাষট্টি বছরের সন্ধ্যা সেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিতসাধীন। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাগবাজারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোয়াব টেস্টে দেহে এইচওয়ান এনওয়ান ভাইরাস মেলায় তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে তাঁকে রেফার করা হয়।
সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় কলকাতার হাসপাতালগুলিকে সোয়াইন ফ্লু রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেই তৈরি হয়নি সোয়াইন ফ্লু ওয়ার্ড। ট্যামি ফ্লু নামের এই প্রতিষেধকটি বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানোর কথা স্বাস্থ্য দফতরের। অর্থাত্, এই মহূর্তে সোয়াইন ফ্লু-য়ে আক্রান্ত হয়ে কোনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলে মিলবে না প্রতিষেধক ট্যামি ফ্লু। পয়সা দিয়ে খোলা বাজার থেকে কিনতে হবে ওষুধ। জেলা হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইমেল মারফত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েই দায় সেরেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এই অগোছালো অবস্থায় সংক্রমণ আরও বাড়লে, কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।