টালা ট্যাঙ্কের শরীরে অসুখ, বাসা বেঁধেছে অজস্র ছিদ্র, ফাটল
টালা ট্যাঙ্কের শরীরে অসুখ। বাসা বেঁধেছে অজস্র ছিদ্র, ফাটল। সাময়িক মেরামতিতে অসুখ সারেনি। অসুখ সারাতে ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ পুরসভা। মিলেছে আর্থিক সাহায্যের মৌখিক আশ্বাস। ঐতিহ্যের টালা ট্যাঙ্কের যৌবন থাকবে অটুট। আশায় বুক বাঁধছে কলকাতা।
ওয়েব ডেস্ক: টালা ট্যাঙ্কের শরীরে অসুখ। বাসা বেঁধেছে অজস্র ছিদ্র, ফাটল। সাময়িক মেরামতিতে অসুখ সারেনি। অসুখ সারাতে ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ পুরসভা। মিলেছে আর্থিক সাহায্যের মৌখিক আশ্বাস। ঐতিহ্যের টালা ট্যাঙ্কের যৌবন থাকবে অটুট। আশায় বুক বাঁধছে কলকাতা।
বয়স মানেই বৃদ্ধাশ্রম নয়। বয়স মানে আরও একটু ভালবাসা, আরও একটু যত্ন, আরও একটু মনোযোগ। অবহেলা নয়, বরং পরম স্নেহে তাকে সমাজের সঙ্গেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখা। আর সেই বৃদ্ধের নাম যদি টালা ট্যাঙ্ক হয়, তো কথাই নেই।
ঐতিহ্যের শরীরে নানা অসুখ। গায়ে অজস্র ছিদ্র, থামে ফাটল। পরিমানে কম হলেও জল বেরিয়ে যাচ্ছে অবিরাম। টালা ট্যাঙ্ক সারাইয়ে খড়্গপুর আইআইটি, শিবপুর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাইটসের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হয় একটি কমিটি। পাকাপাকি মেরামতির নিদান দেয় ওই কমিটি। ইউপিএ টু সরকারের আমলে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কিন্তু প্রায় আটান্ন কোটি টাকার অনুমোদন মেলেনি।
কেন্দ্রে নতুন সরকার আসার পর ফের প্রকল্প-রিপোর্ট তৈরি করে কলকাতা পুরসভা। টালা ট্যাঙ্ককে তার পুরনো গৌরব ফিরিয়ে দিতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। পুরো প্রকল্পে খরচ পড়বে ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা। ৩৫ শতাংশ দেবে কেন্দ্র, পয়ত্রিশ শতাংশ রাজ্য এবং বাকি তিরিশ শতাংশ খরচ করবে কলকাতা পুরসভা।
সাত বিঘে জমির ওপর তৈরি বিশাল আয়তাকার এক চৌবাচ্চা। একশো দশ ফুট উঁচু, ষোলো ফুট গভীর। নব্বই লক্ষ গ্যালন জল ধরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই ট্যাঙ্ককে উড়িয়ে দেওয়ার টার্গেট করে জাপান। টাইটানিক জাহাজ যে স্টিল দিয়ে তৈরি, সেই স্টিল দিয়ে তৈরি এই ট্যাঙ্ক।
গোটা কলকাতা তো বটেই, সল্টলেক এবং আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকায় ঠিক এভাবেই জল পৌছে দেয় টালা ট্যাঙ্ক। বছরের পর বছর। বিশাল এই ট্যাঙ্কের আপাদমস্তক মেরামতি হবে ঠিক এইভাবে। এইভাবে ভিতরের চারটি কম্পার্টমেন্টে আলাদা আলাদাভাবে জল খালি করে মেরামত করা হবে। অসুখ সারিয়ে ফের তরতাজা হয়ে ওঠার অপেক্ষায় ১০৭ বছরের "যুবা'।