Tapan Dutta Murder Case: ওদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত মামলা চালাব, আমি তো তৃণমূল ছেড়েই দিয়েছি: প্রতিমা দত্ত
"কখনও পয়সা, কখনও চাকরির লোভ দেখানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। মেরে ফেলব, বংশে বাতি দেওয়ার লোক থাকবে না, বলা হয়েছে। ঘরে লোক ঢুকিয়ে দেয়", অভিযোগ প্রতিমা দত্তর
![Tapan Dutta Murder Case: ওদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত মামলা চালাব, আমি তো তৃণমূল ছেড়েই দিয়েছি: প্রতিমা দত্ত Tapan Dutta Murder Case: ওদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত মামলা চালাব, আমি তো তৃণমূল ছেড়েই দিয়েছি: প্রতিমা দত্ত](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/06/09/378218-pratima-duttatapan-dutta.jpg)
অর্ণবাংশু নিয়োগী: এক দশক ধরে লড়াই চালাচ্ছেন। পুলিস, প্রশাসন, রাজনীতিক, পেশি শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আজ দশ বছর পর একটু স্বস্তি পেলেন প্রতিমা দত্ত (Pratima Dutta)। বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে বৃহস্পতিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট। "স্বামীর খুনের জন্য যারা দায়ী, তারা শাস্তি পাবেই", দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রতিমা।
হাইকোর্টের রায় শোনার পর Zee ২৪ ঘণ্টার মুখোমুখি হন প্রতিমা দত্ত। তিনি বলেন, "এতদিন যখন মামলা চালাতে পেরেছি। যতদিন না ওদের সাজা হবে, আমি মামলা চালিয়ে যাব।" এই দীর্ঘ লড়াইয়ে নান ঝড়-ঝাপটার সম্মুখীন হয়েছেন প্রতিমা। আজও তাঁর চোখের সামনে ভাসে ভয়ঙ্কর সেই সমস্ত দৃশ্য। তিনি বলেন, "কখনও পয়সা, কখনও চাকরির লোভ দেখানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। মেরে ফেলব, বংশে বাতি দেওয়ার লোক থাকবে না, বলা হয়েছে। ঘরে লোক ঢুকিয়ে দেওয়া, রাস্তায় বের হলে পিছনে লোক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শেষে পুলিস ধরে নিয়ে গিয়েছিল। বলেছিল, আমি নাকি ডাকাতির প্ল্যান করেছি। আমাকে প্রচুর মেরেছে। এই আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে তিনদিন ছিলাম। শেষে বিকাশবাবু, মিহির বন্দ্যোপাধ্যায়রা গিয়ে আমাকে বের করে নিয়ে এসেছিল।"
২০১১ সালের ৬ মে বালিতে খুন হন তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। যে দল এবং যাদের জন্য স্বামী প্রাণপাত করেছেন, বিপদে অনেকেই প্রতিমা দত্তর পাশে দাঁড়াননি। অভিমানী প্রতিমার গলায় শোনা গেল সেই কথা। তিনি বলেন, "এখন আর কারও উপর বিশ্বাস রাখতে পারি না। ওই জায়গাটায় খুব চিন্তা করে কাজ করতে হয়। বিশ্বাসটা মন থেকে উঠে গিয়েছে। যাদের চা-টিফিন করে খাইয়েছি, তাঁদের আবার বিশ্বাস করব। না, আর হয় না। আমি তো তৃণমূল ছেড়েই দিয়েছি। স্বামী যেদিন মারা গিয়েছেন, পরের দিনই তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছি।"
বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের মামলায় বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এত দিন এই মামলার তদন্ত করছিল সিআইডি (CID)। এ দিনের শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, তপন দত্ত মামলার বিচার প্রক্রিয়া এবার থেকে সংগঠিত করবে সিবিআই। প্রয়োজন মনে করলে তদন্তও শুরু করতে পারে সিবিআই। ফলে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, এবার থেকে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া সিবিআই-এর আদালতে হবে।