ট্যাক্সিচালকরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, ভোট নেই, তাই তাদের দাবি নিয়ে মাথাব্যাথা
ভোট নেই। তাই তাদের দাবিরও কোনও গুরুত্ব নেই। পরিবহণমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুললেন ট্যাক্সিচালকরা। রাজ্যের অধিকাংশ ট্যাক্সিচালকই বিহার অথবা পাঞ্জাবের বাসিন্দা। যাদের এরাজ্যে কোনও ভোটারকার্ড নেই। তাই তাদের দাবিও গুরুত্ব পাচ্ছে না সরকারের কাছে। ট্যাক্সি চালকদের এই অভিযোগের পাশে দাঁড়িয়েছে বাম শ্রমিকসংগঠনও। ট্যাক্সি জট না কাটার জন্য ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন সিটু নেতা অনাদি সাউ।
ছাব্বিশ দিনে চারবার ট্যাক্সি ধর্মঘট। পুলিসি জুলুমের প্রতিবাদে ট্যাক্সি সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে যাত্রীদের চরম হয়রানি। সমস্যা মেটাতে ট্যাক্সি চালক সংগঠনের সঙ্গে পরিবহণমন্ত্রীর দফায় দফায় বৈঠক। তারপরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। বেরোয়নি কোনও রফাসূত্র। বারবার এই নিস্ফলা বৈঠকের কারণটা কী? কেনই বা পৌছোনো যাচ্ছেনা কোনও সমাধানসূত্রে? ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, ভোটে জিততে তাদের মতামত গুরুত্ব পায়না বলেই তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সরকার।
ভিন রাজ্যের এই ট্যাক্সিচালকদের ভোটের অধিকার নেই। তাই সমস্যা সমাধানেও পরিবহণ মন্ত্রীর কোনও সদচ্ছা নেই বলে তোপ দেগেছেন বাম শ্রমিক সংগঠন নেতৃত্ব। ট্যাক্সি চালকরা অভিযোগ তুলছেন সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারও নিজস্ব সিদ্ধান্তে অনড়। দুইপক্ষের এই চাপানউতোরের যাঁতাকলে পড়ে শেষমেষ দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সেই যাত্রীদেরই।