বাস ধর্মঘট সামাল দিতে অতিরিক্ত ট্যাক্সির আশ্বাস ট্যাক্সি মালিকদের

কাল ও পরশু রাস্তায় থাকছে না বাস-মিনিবাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের ভরসা নিগমের হাতে থাকা সামান্য কিছু বাস। ট্যাক্সি মালিকদের আশ্বাস, অতিরিক্ত ট্যাক্সি থাকবে রাস্তায়। তবে ধর্মঘটের অজুহাতে তারা বাড়তি ভাড়া হাঁকলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে নীরব ট্যাক্সি ইউনিয়ন। নেট ফল-মানুষের ভোগান্তি।

Updated By: Sep 18, 2013, 10:54 PM IST

কাল ও পরশু রাস্তায় থাকছে না বাস-মিনিবাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের ভরসা নিগমের হাতে থাকা সামান্য কিছু বাস। ট্যাক্সি মালিকদের আশ্বাস, অতিরিক্ত ট্যাক্সি থাকবে রাস্তায়। তবে ধর্মঘটের অজুহাতে তারা বাড়তি ভাড়া হাঁকলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে নীরব ট্যাক্সি ইউনিয়ন। নেট ফল-মানুষের ভোগান্তি।  
ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৪৮ ঘণ্টার বাস মিনিবাস ধর্মঘট হচ্ছেই। এতে সামিল হচ্ছে জয়েন্ট কাউন্সিল ও বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের মোট ৪০ হাজার বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস কোঅর্ডিনেশন কমিটির চার হাজার মিনিবাস। ধর্মঘটের সরাসরি প্রভাব পড়বেই এমন যাত্রীর সংখ্যা দৈনিক ৬০ লক্ষ। পুজোর কেনাকাটা যখন তুঙ্গে, তখন পরিবহণ ধর্মঘট সরাসরি প্রভাব ফেলবে ক্রেতা ও বিক্রেতার ওপর। তবুও কোনওমতেই ভাড়া বৃদ্ধির আশ্বাস ছাড়া ধর্মঘট থেকে সরতে নারাজ বাস মালিকরা।
 
সরকারি পরিবহণ দিয়ে ধর্মঘট মোকাবিলার কথা বলছেন পরিবহণমন্ত্রী। কিন্ত পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, নিগমের সমস্ত বাস চালিয়েও বিপুল যাত্রীর চাহিদা মেটানো কার্যত অসম্ভব।
 
১) সিএসটিসি-র হাতে রয়েছে মোট ৭৫৫টি বাস। সচল রয়েছে মাত্র ৩৩৬টি।
২) সিটিসির হাতে রয়েছে ৩৮২টি বাস। এরমধ্যে রাস্তায় নামার যোগ্য মাত্র ১৮৬টি।
৩) এনবিএসটিসির মোট বাস ৭০৪। সচল মাত্র ৪০৫টি।
৪) এসবিএসটিসি-র মোট বাস ৪৪২। চালু রয়েছে ৩০৮টি।
৫) সারফেস ট্রান্সপোর্টেরর মোট বাস ১৮৯। যার মধ্যে চলছে মাত্র ১৩২টি।
 
তিনদিনের মধ্যে অচল হয়ে পড়ে থাকা সমস্ত বাসও যদি সারিয়ে নেওয়া হয় তাহলে সম্মিলিতভাবে মোট দৈনিক ১১ লক্ষ যাত্রী পরিবহণের ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে। তবে বুধবার ট্যাক্সি মালিকদের সবকটি সংগঠন জানিয়েছে তারা ধর্মঘটের ২ দিন অতিরিক্ত ট্যাক্সি চালাবে। এই ২ দিন যাত্রী প্রত্যাখ্যান করতে নিষেধ করা হয়েছে চালকদের। ধর্মঘটের সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া নেন ট্যাক্সিচালকরা। অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা অবশ্য জানাতে পারেননি ট্যাক্সি সংগঠনের নেতারা।
 

.