Primary TET: দুর্নীতির বদলায় চাকরির দাবি! আড়াআড়ি ভাগ টেট আন্দোলনকারীরাই
২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে তাঁদের আজ আর কোনও কর্মসূচি নেই। অর্থাৎ, তাঁরা এটা আরও একবার স্পষ্ট করে দেন যে, রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ভরসা রাখছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দু'দলই টেট পাস। কিন্তু আন্দোলনে একসঙ্গে নেই দুপক্ষ। একপক্ষ ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণরা। আরেকপক্ষ ২০১৭-র। অবিলম্বে সরাসরি চাকরিতে নিয়োগের দাবি নিয়ে সল্টলেক করুণাময়ীতে এপিসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁদের দাবি অনৈতিক বলে সরাসরি খারিজ করে দেওয়ার পর তাঁদের সেই অবস্থান বিক্ষোভ বদলে যায় আমরণ অনশনে। শেষে গতকাল রাতে পুলিস 'পাওয়ার' প্রয়োগ করে আন্দলনকারীদের তুলে দেয়। যারপরই এদিন আবার তাঁরা ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেছেন। এদিকে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থান বিক্ষোভ, তাঁদের দাবি ঘিরে উত্তেজনার পারদ যখন চড়ছে, তখন গতকাল করুণাময়ীতে পালটা আন্দোলনে বসেন আরেকদল টেট উত্তীর্ণরা। এরা ২০১৭-র ব্যাচ। তাঁরা সরাসরি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের দাবির বিরোধিতা করেন।
২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের দাবি ছিল, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের দাবি অনৈতিক। ইন্টারভিউ ছাড়া নিয়োগ নয়। সবাইকে ইন্টারভিউতে বসতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ নিতে হবে সবাইকে। এরপর পুলিস ২০১৪-র আন্দোলনকারীদের অবস্থান থেকে তুলে দেওয়ার পর তাঁরা যখন মাতঙ্গিনী মূর্তির নীচে নতুন করে জমায়েত করছেন, তখন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে তাঁদের আজ আর কোনও কর্মসূচি নেই। অর্থাৎ, তাঁরা এটা আরও একবার স্পষ্ট করে দেন যে, রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ভরসা রাখছেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের দাবি আইনসম্মত নয়। অন্যায্য দাবি করছেন তাঁরা। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন তিনি। পর্ষদ সভাপতি সাফ বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ নীতি আইন মেনেই নিয়োগ করতে হবে। আজকে যারা নন-ইনক্লুডেড ক্যানডিডেট, তাঁরা পর পর দুবার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা এমপ্যানেলড হননি। এখন আইন মেনেই নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন, Primary TET: অভিযানের পরই 'নিখোঁজ'! খারাপ ব্যবহার করেনি পুলিস, বলছেন সেই অর্ণব-ই
এমনকি তিনি এও বলেন যে, ২০১২ সাল থেকে টেট পাস সকল প্রার্থী যদি বয়স থেকে থাকে, তবে সবাই-ই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর ৪০ বছর বয়স হয়ে গিয়ে থাকলে, সেক্ষেত্রে বয়সসীমায় ছাড় দিলে তাঁরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তবে সেই ছাড় দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।