ত্রুটি নিয়েই বিধানসভায় পাশ চিটফান্ড সংশোধনী বিল, মিলবে কি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর, থাকছে সংশয়
একগুচ্ছ ত্রুটি নিয়ে বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল চিটফান্ড সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য এই বিল আবার পাঠানো হবে দিল্লিতে। তার আগেই প্রশ্ন উঠছে, ত্রুটিপূর্ণ ওই বিলে রাষ্ট্রপতি আদৌ স্বাক্ষর করবেন তো? চিটফান্ড সংক্রান্ত বিল নিয়ে সরকার ও বিরোধীপক্ষের বিতন্ডায় বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। সর্বসম্মতিক্রমে বিল পাশ হয়েছে ঠিকই, তবে বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
ব্যুরো: একগুচ্ছ ত্রুটি নিয়ে বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল চিটফান্ড সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য এই বিল আবার পাঠানো হবে দিল্লিতে। তার আগেই প্রশ্ন উঠছে, ত্রুটিপূর্ণ ওই বিলে রাষ্ট্রপতি আদৌ স্বাক্ষর করবেন তো? চিটফান্ড সংক্রান্ত বিল নিয়ে সরকার ও বিরোধীপক্ষের বিতন্ডায় বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। সর্বসম্মতিক্রমে বিল পাশ হয়েছে ঠিকই, তবে বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
কেন্দ্রের পরামর্শে বিলের ৩ নম্বর ধারায় সংশোধনী আনা হয়েছে।
পুরনো বিলে বলা হয়েছিল, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পূর্ণ হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলা করা হবে।
এই নির্দিষ্ট সময় ঠিক কত, তা বিলে উল্লেখ করতে পরামর্শ দেয় কেন্দ্র।
নতুন বিলে লেখা হয়েছে, এই সময় হচ্ছে ৬ মাস।
এই ধারাটি নিয়ে বিরোধীরা সরব।
বিরোধীদের আপত্তি, ৬ মাস এক্ষেত্রে বিরাট সময়। এই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত তার সম্পত্তি হাতবদল করতে পারে, যা ঘটেছিল সারদা কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে।
বামেরা এই প্রশ্নে সংশোধনী আনেন। তাঁদের দাবি, মামলা শুরুর সময়সীমা ৬ মাস থেকে কমিয়ে ১০ দিন করা হোক। সেই সংশোধনী গ্রহণ করেননি অমিত মিত্র। প্রশ্ন উঠছে, কেন সরকার অভিযুক্তকে এত সময় দিতে রাজি হল?
কেন্দ্রের পরামর্শে বিলের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে
নজরে ৯ ধারা
--------
দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা শুরু করতে হলে, ওই মামলায় নিযুক্ত উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের অনুমতি প্রয়োজন।
স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওই আমলা অনুমতি দিতে পারেন, আবার অনুমতি স্থগিতও রাখতে পারেন।
এই ধারাটি নিয়েও প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই উচ্চপদস্থ আমলারা শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে সিদ্ধান্ত নেন। সেক্ষেত্রে, ছাড় পেয়ে যেতে পারেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠরা।
সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হল বিলের ২২ নম্বর ধারা।
নজরে ২২ ধারা
---------
বিরোধীরা বার বার বলেছেন, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট হয় না।
একই পরামর্শ ছিল আইনজ্ঞদের।
জোর করেই এই রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট রেখেছিল সরকার। আপত্তি জানায় কেন্দ্র।
এতদিন পরে তা স্বীকার করলেন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভাট্টাচার্য। বিরোধীদের প্রশ্ন তাহলে,কেন বাম জমানার বিল বাতিল করা হল?
তাঁদের অভিযোগ, সময় নষ্টের জন্যই এ পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। অনেক আইন বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, এত ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় নতুন বিলটিতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর মিলবে না। চিট ফান্ড বিরোধী আইনও তাই বিশ বাঁও জলে।