Chhath Puja 2024: ছটের আগেই সম্পূর্ণ বন্ধ কলকাতার দুই প্রধান সরোবর! তৈরি কৃত্রিম জলাশয়...
Chhath Puja 2024: সকালে রবীন্দ্র সরোবরের মাত্র দুটি ছোট গেট বাদে বাকি সমস্ত গেট সিল করার প্রক্রিয়া দেখা গেল। গেট গুলি ভিতর থেকে ইতিমধ্যেই বাঁশের ব্যারিকেড দড়ি দিয়ে বেঁধে সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রাতভ্রমণকারীরা বেরিয়ে গেলে বাইরে থেকেও একইভাবে ব্যারিকেড দিয়ে সিল করা হয়েছে।
অয়ন ঘোষাল: ২০০৮, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে জোর করে রবীন্দ্র সরোবর প্রাঙ্গণে জলাশয়ে ছট পালনের চেষ্টা হয়েছিল। ২০১১ সালে একই চেষ্টা হয়েছিল সুভাষ সরোবরেও। তাই জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ এবং কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীন বেঞ্চের নির্দেশ অনুয়ায়ী বিগত বছর গুলোতে কলকাতার এই দুই মূল সরোবর ছটের আগে সিল করে দেয় পুলিশ। সকালে রবীন্দ্র সরোবরের মাত্র দুটি ছোট গেট বাদে বাকি সমস্ত গেট সিল করার প্রক্রিয়া দেখা গেল। গেট গুলি ভিতর থেকে ইতিমধ্যেই বাঁশের ব্যারিকেড দড়ি দিয়ে বেঁধে সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রাতভ্রমণকারীরা বেরিয়ে গেলে বাইরে থেকেও একইভাবে ব্যারিকেড দিয়ে সিল করা হয়েছে।
সরোবরের সবকটি গেটে ইতিমধ্যেই কেএমডিএ এবং পুলিসের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বুধবার রাত ৮ টা থেকে ৮ নভেম্বর বেলা ১২ টা পর্যন্ত সরোবরে সর্বসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাশাপাশি রবীন্দ্র সরোবর থানার পক্ষ থেকে বিকেল থেকেই বিশেষ পুলিসি নিরাপত্তা থাকছে রবীন্দ্র সরোবরে। প্রাতভ্রমণকারীদের একটা অংশ একে সর্বান্তকরণে সমর্থন করছেন। তবে হিন্দিভাষী প্রাতভ্রমণকারীদের কেউ কেউ বলছেন, ছট পুজো বন্ধ করার জন্য সরোবর সিল করা হলেও সরোবরের ভিতরে সারাবছর অবাধে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, ধূমপানের সামগ্রী এবং মদ্যপানের মতো আচরণ ঘটে চলে। সেদিকে প্রশাসনের নজর নেই বলেও তাদের অভিযোগ।
একদিকে যখন কলকাতার দুই সরোবর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তো অন্যদিকে ছট উপলক্ষ্যে কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে ৮৬ টি কৃত্রিম জলাশয় বা ছট ঘাট তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ বাই ১৫ ফুটের জলাশয় তৈরি হয়েছে গঙ্গার জল দিয়েই। ভবানীপুর নর্দার্ন পার্কের ভিতর মাঠ খুঁড়ে তৈরি এই অস্থায়ী কৃত্রিম জলাশয়। সেই জলাশয় ভর্তি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ওয়াটার ট্যাঙ্ক। সেই ট্যাঙ্ক ভরে আনা হয়েছে খিদিরপুর দই ঘাট থেকে। জলাশয়ের দুই দিকে মোট চারটি কৃত্রিম ঘাট তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় পুরপিতা অসীম বসু জানাচ্ছেন, এই ধরনের ঘাটে ৩ ভাবে মানুষের সুবিধা হবে। প্রথমত যাদের ম্যাটাডোর বা মিনিডোর ভাড়া করে গঙ্গায় যেতে হয়, তাদের ঝক্কি কমবে। কারণ তারা নিজের এলাকায় গঙ্গা ছট অর্পণ করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত এর ফলে গঙ্গায় পুজো দেওয়ার হিড়িক কিছুটা কমবে এবং গঙ্গা অপেক্ষাকৃত বেশি দূষণ মুক্ত থাকবে। তৃতীয়ত এই ধরনের কৃত্রিম জলাশয় বেলেঘাটা সুভাষ সরোবর বা ঢাকুরিয়া রবীন্দ্র সরোবরে ছট না করতে পারার যে সমস্যা তাও অনেকাংশে দুর করবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)