স্যার আইপ্যাক থেকে বলছি, TMC নেতাদের ফোন করে তথ্য সাবাড় করল আইটি সেল!

কমলিকা সেনগুপ্ত

Updated By: Sep 10, 2020, 07:13 PM IST
স্যার আইপ্যাক থেকে বলছি, TMC নেতাদের ফোন করে তথ্য সাবাড় করল আইটি সেল!

কমলিকা সেনগুপ্ত

'হ্যালো, স্যার আইপ্যাক (IPAC) থেকে বলছি, মানে প্রশান্ত কিশোরের টিম। আপনার সঙ্গে কিছু কথা ছিল।'

গত সপ্তাহে এমন কয়েকটি ফোনই গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই ফোনের ওপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। আর করবেন না-ই বা কেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভোটকৌশলী বলে কথা। পরে খোঁজখবর নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব জানতে পারেন, ওই কলগুলি প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) দলের কারও কাছ থেকে আসেনি। অভিযোগ, এ নাকি প্রতিপক্ষের আইটি সেলের কারসাজি।                          

লোকসভা ভোটে তৃণমূলের আসন কমার পর রণকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই প্রশান্তের মস্তিষ্কপ্রসূত 'দিদিকে বলো','বাংলার গর্ব মমতা'র মতো কর্মসূচির সূচনা হয়েছে রাজ্যে। সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেছে, তাদের নেতাদের দলে টানতে ফোন করেছে আইপ্যাক। এবার প্রশান্তের ওই সংস্থার নাম করে গত সপ্তাহে একাধিক ফোন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতানেত্রীদের কাছে গিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। ফোনে আইপ্যাকের নাম করে তৃণমূলের সংগঠন সংক্রান্ত নানা তথ্য চাওয়া হয়। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তৃণমূল নেতারা। পরে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, গোটাটাই ভোঁ ভাঁ। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা কোনও ফোনই করেনি।

তাহলে আইপ্যাকের নাম ভাঁড়িয়ে কারা ফোন করল? খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মুঠোফোনও ভেসে উঠেছিল ওই নম্বরটি। তাঁর অভিযোগ, টিম পিকে-র নামে বিজেপির আইটি সেল তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। 

এমন 'ষড়যন্ত্র'-র অভিযোগ আসার পর নড়চড়ে বসেছে তৃণমূল শিবির। একুশের যুদ্ধে প্রতিপক্ষ যে শাসক দলের কৌশল জানতে চাইবে, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। এমতাবস্থায় দলের নেতানেত্রীদের সতর্ক করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সমস্ত নেতাদের ফোনে গিয়েছে বার্তা। তাতে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার লোকেদের নামধাম। এর সঙ্গে স্পষ্ট নির্দেশ, এই নম্বরগুলির বাইরে কাউকে তথ্য দেওয়া চলবে না। তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, খেয়েদেয়ে কাজ নেই, তৃণমূল নেতাদের ফোন করে তথ্য জোগাড় করতে হবে! মানুষই ওদের সঙ্গে নেই।                                  

এককালে রাজনীতির মানে ছিল, পোস্টার ছাপা, দেওয়াল লিখন, বাড়ি বাড়ি প্রচার। ফোর জি যুগে আমূল বদলে গিয়েছে ভোটের রণনীতি। 'কর্পোরেট কালচার'-এর ছোঁয়ায় ভোট আর শুধু মাঠে-ঘাটের লড়াইয়ে আটকে নেই। গোটা ঘটনাক্রম আরও একবার সেদিকেই ইঙ্গিত করল।

আরও পড়ুন- CPM-র কী আছে? মতাদর্শ, ভাঙাতে এসে দেবেশ দাসের কাছে শুনল PK-র লোক        

.