ভোট নেই, অথচ 'দিদিকে বলো'য় গোটা তৃণমূলকেই মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত
সোমবার নজরুল মঞ্চে সামনে এসেছে 'দিদিকে বলো'।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল থেকে পথে বিধায়করা। বাজারে চায়ের আড্ডা কিংবা ঘরে গিয়ে সাক্ষাত। 'দিদিকে বলো'র ক্যাম্পেনে ঝোড়ো ইনিংসের সূচনা করল তৃণমূল। গোটা রাজ্যজুড়ে নিবিড় জনসংযোগে একদিকে যেমন পেশাদারিত্বের ছাপ তেমনই মরিয়া প্রচেষ্টা রাজনৈতিক জমি দখলে রাখার।
লোকসভা ভোট মিটে গিয়েছে মাসদুয়েক । ভোট বলতে আবার পরের বছরে পুরভোট। বিধানসভা ভোট সেই একুশে। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের ঝোড়ো ক্যাম্পেন দেখে বোঝার উপায় নেই, মনে হচ্ছে- ভোটের সূর্য মধ্যগগনে। সকাল থেকে পথে নেতা মন্ত্রীরা।উপলক্ষ, 'দিদিকে বলো'।
সোমবার নজরুল মঞ্চে সামনে এসেছে 'দিদিকে বলো'। ফোনের ওপারে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আম জনতার আরও কাছে-কাছের মানুষ। এই ক্যাম্পেনকে একেবারে পেশাদারি কায়দায় প্রান্তিক অঞ্চলে পৌছে দিতে রাস্তায় নেমে পড়েছে টিম তৃণমূল। ঘোষণার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলার সব সভাপতিরা নেমেগিয়েছিলেন। এবার টানা দুদিনের ব্যাপক কর্মসূচিতে দলীয় বিধায়করা। হেভিওয়েটদেরও স্পষ্ট নির্দেশ- পথে নামতেই হবে। সেইমতো পূর্ণেন্দু বসু থেকে অরূপ রায় সকাল থেকে সবাই জনসংযোগে।
প্রত্যেক বিধায়ক নিজের নিজের এলাকায় গেঞ্জি পড়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। চায়ের আড্ডায় কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। দলের নির্দেশে- কারও না কারও বাড়িতে খাওয়া দাওয়া, রাত কাটানো, একেবারে নিবিড় জনসংযোগ। ফোন নম্বর থেকে ওয়েবসাইটের অ্যাডড্রেস, দিদিকে বলোর যাবতীয় খুঁটিনাটি কার্যত প্রতি ঘরে পৌছে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দল।
বদলাচ্ছে ভাবনা, পাল্টাচ্ছে কৌশল। পরিবর্তন আনছেন প্রশান্ত কিশোর। দিদিকে বলো-র মতো এমন পেশাদারি ক্যাম্পেনের সুফল মিলবেই, আত্ববিশ্বাসী পথে নামা হেভিওয়েটরাও।
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষকদের মাইনে বাড়ার পর শিক্ষামন্ত্রীর শরণে প্রাইভেট টিউটররা