Municipal Election 2022: "উৎসবের মেজাজে ভোট হোক", জাগো বাংলায় নির্দেশ TMC-র
শনিবার জাগো বাংলার প্রথম পাতাতেই ছাপা হয়েছে এই নির্দেশিকা
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাত পোহালেই পুরভোট। তার আগে শনিবার সকালে তৃণমূলের দলিয় মুখপত্র জাগো বাংলায় তৃণমূল কর্মীদের জন্য প্রাকশ করা হল একগুচ্ছ নির্দেশিকা।
উৎসবের মেজাজে ভোট হোক এবং বাড়তি ভোটের জন্য অতি উৎসাহে এমনকিছু করবেন না যাতে বিতর্ক হয়। বিরোধীরা জানে তারা হারবেই, তাই প্রচারে থাকতে প্ররোচনা দিয়ে নাটক করতে পারে। কোনওভাবেই এইসব প্ররোচনায় পা দেবেন না এমটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের।
শনিবার জাগো বাংলার প্রথম পাতাতেই ছাপা হয়েছে এই নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকায় মোট দশ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে মূল বিষয় রয়েছে বেশ কয়েকটি।
এবারের ভোটে নির্দল কাঁটা থেকে বাঁচতে এখানে বলা হয়েছে যে দল, শাখা সংগঠন এবং গণসংগঠনের সকল সদস্যরা যেন দলিয় প্রার্থীর পাশে থেকেই ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট করেন।
এর মধ্যে অন্যতম হল যেখানে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না হয়। এরজন্য মূল যে দুটি বিষয় বলা হয়েছে তাঁর মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে যে বিরোধীরা প্ররোচনা দেবে কিন্তু সেই প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। এর সঙ্গেই বলা হয়েছে যে কর্মীরা যেন অতি উৎসাহে অতিরিক্ত ভোটের আশায় এমন কিছু করে না বসেন যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
আরও পড়ুন: হতাশাজনক পরিস্থিতিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল দাবি Dilip Ghosh-র
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "আগে দেখা যায়নি মানে ভবিষ্যতে দেখা যাবে না তা নয়। ভাল জিনিস হলে তা সবসময়ই ঠিকঠাক। আমাদের নেতারা জেলায় জেলায় ঘুরে এই কথাগুলি বার বার বলেছেন। সেই কথাগুলি সঙ্কলিত করে জাগো বাংলা প্রকাশ করেছে যে বিরোধীরা জানে তারা হারবে। সেই কারনেই তারা নানা রকম নাটক করার চেষ্টা করবে। আজ মিডিয়ার যুগ। তারা কখন কোথায় কী সাজিয়ে কী করবে সেই প্ররোচনায় তো পা দেওয়া যাবে না। আর মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন ফলে অবাধ, গণতান্ত্রিক ভোট করতে হবে। বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দিতে হলে ফোকাস নষ্ট হয়য়ে যাবে। সেই জন্যই কর্মীদের আবার একবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, "সমস্যা হল, জাগো বাংলা পড়ে কে? ওই পেপারের যিনি এডিটর তিনিও পড়েন কিনা তাতেও আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তৃণমূল কর্মীরা তো বেশিরভাগ কিছু পড়েনইনা। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে কী নির্দেশ দেওয়া হল তা কেউ শুনবে না। আর দ্বিচারিতা হল তৃণমূল কংগ্রেসের চরিত্র। একদিকে সে জাগো বাংলায় বলছে যে কিছু করবেন না, অন্যদিকে তাদেরই নেতারা এসে বলে যাচ্ছেন যে ২০ টির মধ্যে ২০টি চাই, ২৫টির মধ্যে ২৫টি চাই। এই বার্তাগুলির মানে কী হয় তা মানুষ বোঝে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই দ্বিচারিতা বার বার প্রকাশ্যে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বার বার দুরকম কথা বলেন। অতয়েব এই দলের মুখপত্র অথবা কোনও নেতা কী বলল তা কারোর বিশ্বাস করার কোনও জায়গা নেই।