Seikh Shahjahan Suspended: বাঘ হল বেড়াল! গ্রেফতারের পরই শাহজাহানের সব পদ কেড়ে নিল তৃণমূল...
TMC Suspend Seikh Shahjahan: শাহজাহানকে সাসপেন্ড করা হলেও ব্রাত্য় বসু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। হেমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারী, ব্রিজভূষণের নাম টেনে আক্রমণ করেন বিজেপিকে।
অয়ন ঘোষাল : গ্রেফতার হতেই সাসপেন্ড শেখ শাহাজাহান। ৬ বছরের জন্য তৃণমূল থেকে বরখাস্ত শেখ শাহজাহান। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, ব্রাত্য বসুরা। শাহজাহানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, আজ বা কাল, ২-১ দিনের মধ্যেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সাসপেন্ড করার মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে দলীয় নেতৃত্ব। একইসঙ্গে জেলা পরিষদের পদ থেকেও অপসারিত শাহজাহান। প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিস। সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার হন শেখ শাহাজাহান।
গ্রেফতারির পর দল থেকে শাহজাহানকে সাসপেন্ড করা হলেও সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য় বসু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে আক্রমণ করেন বিজেপিকে। ব্রাত্য বলেন,"মোদী বাবু, হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে সাসপেন্ড করে দেখাতে পারবেন? শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করে দেখাতে পারবেন? ব্রিজভূষণকে সাসপেন্ড করে দেখাতে পারবেন? আপনি টক টক টক! গতকাল আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানায়, সেন্ট্রাল এজেন্সি গ্রেফতার করতে চায়! ওরা মোদী আসার জন্য ইস্যু জিইয়ে রাখতে চাইছিল। বার বার সন্দেশখালি যাচ্ছিল। বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিল। স্টে উঠল। শেখ শাহাজাহান ওপেন হল। ব্যাস। গ্রেফতার করা হল। কাল মোদী এসে দেখবেন 'সন্দেশ' খালি। মানে আর এখানে করার মতো কোনও খবর অর্থাৎ সন্দেশ নেই।"
আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় এজেন্সি তারপরেও গ্রেফতার করতে অনীহা দেখাচ্ছিল। আরও সময় চাইছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই স্টে দেওয়া হল না। ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার। সারদার মালিককে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গ্রেফতার করেনি। রাজ্য পুলিস করেছিল। আরাবুলও, রাজ্য পুলিস। শম্ভূনাথ কাউও, রাজ্য পুলিস। উদাহরণ সেট করছি আমরা। ওরা উদাহরণ সেট করতে পারবে না। উদাহরণ সেট করল রাজ্য। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, শেখ সিরাজ- সব আমরা গ্রেফতার করেছি। রাজ্য পুলিস করেছে। তৃণমূল প্রশাসনে দলতন্ত্র চালায় না। দল দলের মতো চলে। প্রশাসন তার মতো চলে।" ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহাজাহানের পাশে নেই। যদিও শেখ শাহজাহানকে তৃণমূলের সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তকে 'ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা' বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৮ দিনের মধ্যে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বলেন, ৭ দিনের মধ্যে শাহাজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিস। এরপরই এদিন মিনাখাঁ থেকে ভোর রাতে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির 'বাদশা'। গ্রেফতারির পর বসিরহাট আদালতে ধৃত শেখ শাহাজাহানকে পেশ করা হয়। পুলিসের তরফে শাহজাহানের ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। বিচারক তাঁর ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শেখ শাহজাহান। কিন্তু শেখ শাহজাহানের কোনও আবেদন-ই শোনেনি কলকাতা হাইকোর্ট।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)