পাহাড়ে সংকটে পর্যটন
পুজোর ভ্রমণের তালিকা থেকে এবার প্রায় বাদ পড়েছে পাহাড়। ছুটি কাটাতে পর্যটকেরা এবার পাড়ি দিচ্ছে অন্য জায়গায়। এখনও রাজ্যজুড়ে রয়েছে গত আঠারো সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিয়ে সিকিম বা দার্জিলিংয়ে যেতে আগ্রহী নন পর্যটকেরা। ফলে মাথায় হাত পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
পুজোর ভ্রমণের তালিকা থেকে এবার প্রায় বাদ পড়েছে পাহাড়। ছুটি কাটাতে পর্যটকেরা এবার পাড়ি দিচ্ছে অন্য জায়গায়। এখনও রাজ্যজুড়ে রয়েছে গত আঠারো সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিয়ে সিকিম বা দার্জিলিংয়ে যেতে আগ্রহী নন পর্যটকেরা। ফলে মাথায় হাত পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছরই পুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই পাহাড়ে শুরু হয়ে যায় জমজমাট ব্যবসা। অনেক পর্যটকই যাওয়া শুরু করেন সিকিম বা শৈল শহরে। পাহাড়ের সব হোটেলে বুকিংও শুরু হয়ে যায় পুজোর আগে থেকেই। এবারও সেই একই ছবি ছিল পাহাড়জুড়ে। শুরু হয়েগিয়েছিল হোটেল বুকিং, জমে উঠতে শুরু করেছিল পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসাও। অনেকেই পাড়ি দিয়েছিলেন সিকিম বা দার্জিলিংয়ের কোনও প্রান্তে। গত আঠারো সেপ্টেম্বরের সন্ধের পর থেকেই পাল্টে যায় গোটা ছবিটা। রাজ্যজুড়ে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় সিকিম ও দার্জিলিংয়ের বেশকিছু এলাকা। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সিকিম নেপাল সীমান্তের মানগাঁন এলাকা হওয়ায় প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণের জায়গা উত্তর সিকিমের রাংপো, ডিকচু, সিংটাম, চুংথাম সহ বেশকিছু এলাকা । অনেক পর্যটককেই ফিরতে হয়েছে প্রাণ হাতে করে এই সব জায়গা থেকে। তাই এবার আর পাহাড়ে যেতে আগ্রহী নন পর্যটকেরা। এরমধ্যে যারা আগাম বুকিং সেরে ফেলেছিলেন তাঁদের মধ্যে প্রায় সত্তর শতাংশ পর্যটকই শেষমুহুর্তে বুকিং বাতিল করেছেন। ফলে পুজোর মুখে মার খাচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। রুটিরুজিতে টান পড়ায় চিন্তায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা। কবে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে এবং ভয় কাটিয়ে আবার ছন্দে ফিরবে পাহাড় এখন তারই অপেক্ষায় রয়েছেন পাহাড়বাসী।