নন্দীগ্রামে সম্ভাব্য মেগা ডুয়েলে ISF-কে 'হোল্ডে' রাখল আলিমুদ্দিন
আইএসএফ-কে নেতৃত্বকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিনের মনোভাব।

মৌমিতা চক্রবর্তী
নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনটি প্রথমে ভাবা হয়েছিল, আইএসএফ-কে (ISF) ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি রণনীতির বদল করছে সিপিএম (CPM)। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ঘোষণার পরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আলিমুদ্দিন।
নন্দীগ্রাম আসনে সেই ১৯৫১ সাল প্রার্থী গিয়ে আসছে বামেরা। ১ বার সিপিএম, ৯বার সিপিআই জিতেছে ওই আসনে। কিন্তু, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নন্দীগ্রাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আলিমুদ্দিন। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নেতৃত্ব। শোনা যাচ্ছে, ভবানীপুর ছেড়ে শুধু নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হতে পারেন মমতা (Mamata Banerjee)। এ দিন দিল্লিতে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে নন্দীগ্রামে লড়াই করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। স্বাভাবিকভাবেই, নন্দীগ্রাম হয়ে উঠবে রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠতে পারে, হারের ভয়ে আইএসএফকে আসন ছেড়ে দিয়েছে বামেরা। জনমানসে এই বার্তা যাক, তা চায় না সিপিএম নেতৃত্ব।
শোনা যাচ্ছে, আইএসএফ-কে নেতৃত্বকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিনের মনোভাব। বলা হয়েছে, আপাতত তারা প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখুক। এর পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বের কাছে নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দু-তিনজনের নামও তৈরি রেখেছেন জেলার নেতারা। তৃণমূল-বিজেপির প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সিপিএম (CPM)। ফলে, নন্দীগ্রামে আইএসএফ না সিপিএম প্রার্থী তা এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- 'আমরা আগেই জানতাম, ভবানীপুর থেকে লড়বেন না': Samik