C V Ananda Bose: পিস রুমের পর এবার পিস ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রাজ্যপালের; তৃণমূল বলল, কিছু পেতে চাইছেন উনি
C V Ananda Bose: তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এই নাটকবাজি রাজ্যপালকে মানায় না। রাজ্যপালের পদটিকে আমার শ্রদ্ধা করি। উনি বিজেপির এজেন্সি নিয়েছেন, সেটা করুন। কিন্তু এই ধরনের নাটক ওঁর করা উচিত নয়

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিয়ালদহে 'অমৃত ভারত স্টেশন' প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে রাজভবনে খুলেছিলেন পিস রুম। রবিবার শিয়ালদহে রেলের অনুষ্ঠানে এসে এবার পিস ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করলেন রাজ্যপাল। ওই ট্রেন চলবে শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-চুরির শাস্তি! দুই কিশোরকে বেধড়ক পিটিয়ে খাওয়ানো হল প্রস্রাব, গোপনাঙ্গে ঘষা হল লঙ্কা
অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্যপাল টেনে আনলেন রাজ্যের হিংসার প্রসঙ্গ। রাজ্যে হিংসা হয়েছে। তাই পিস ট্রেন চালুর প্রস্তাব। কিষাণ এক্সপ্রেস ও কালচাল অন হুইল ট্রেন চালুরও প্রস্তাব করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যের দুটি শত্রু রয়েছে। একটি হল হিংসা ও অন্যটি দুর্নীতি।
গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যেন থামছেই না। রাজ্যকে এড়িয়ে বিশ্ববিদ্যলায়ের উপাচার্য নিয়োগ করা, একাধিক ফাইল ফেরত দেওয়া, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে সরব হওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চলেই আসছে। এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন ট্যুইট করেন, নাগরিক হিসেবে রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করছি। ওঁর জানা দরকার তৃণমূল সরকারের আগে রাজ্যের অবস্থা কী ছিল। দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যের তুলনায় বাংলার অবস্থা অনেকটাই ভালো। ভবিষ্যতে আরও বেশিকিছু পাওয়ার জন্য ধনখড়ের মতো মোদীকে তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।
জি ২৪ ঘণ্টাকে শান্তনু সেন বলেন, যিনি এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অনুষ্ঠানে যেভাবে রাজ্য বিরোধী কথা বলেছেন তাতে তাঁর জেনে নেওয়া উচিত বাম আমলে রাজ্যটা কেমন ছিল। আসলে উনি দেখেছে বিজেপিকে খুশি করে রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হয়ে গিয়েছেন। তাই তিনিও মোদী শাহকে খুশি করে ভবিষ্যতে আরও কিছু পেতে চাইছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এই নাটকবাজি রাজ্যপালকে মানায় না। রাজ্যপালের পদটিকে আমার শ্রদ্ধা করি। উনি বিজেপির এজেন্সি নিয়েছেন, সেটা করুন। কিন্তু এই ধরনের নাটক ওঁর করা উচিত নয়। যেখানে গোটা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে সেরা সেখানে রাজ্যপালের এরকম বক্তব্য শোভা পায় না।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়িও এনিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি সাজানো চিত্রনাট্য অনুযায়ী রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকার অভিনয় করে যাচ্ছেন। এরা আগে ধনখড় যখন ছিলেন তখনও দেখেছি ধনখড় বনাম নবান্ন। আর ধনখড় যখন উপরাষ্ট্রপতি পদে দাঁড়ালেন তখন তাঁকে তৃণমূল সমর্থন করল।