West Bengal Assembly Election 2021: দিদি যে শব্দ প্রয়োগ করেন, প্রধানমন্ত্রীও সেই ভাষায় কথা বললে ভালো হত কি?:Kailash
'আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, তৃণমূলের নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক'।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'দিদি দুর্যোধন বলেন। দিদি রাবণ বলেন। দিদি যে শব্দ প্রয়োগ করেন, প্রধানমন্ত্রীও সেই ভাষায় কথা বললে ভালো হত কি'? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অপমানের অভিযোগের জবাব দিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। তৃণমূলকে তাঁর কটাক্ষ, 'আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক'।
ভোটের প্রচারে বাংলায় লাগাতার কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে দফায় দফায় হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল (TMC)। কলকাতায় দলের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডা: শশী পাঁজা, মেদিনীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী জুন মালিয়া ও অধ্যাপক অনন্যা চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় নিন্দায় সুর চড়িয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: মুখ্যমন্ত্রীকে টোন-টিটকিরি কাটছেন মোদী, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: শশী পাঁজা
শশী পাঁজা বলেন, 'দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদকে সম্মান জানাই। কিন্তু পদাধিকারী নিজেই সম্মান জানাচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি ভাষায় তিনি টোন কাটছেন, টিটকিরি করছেন। এটা উদ্বেগের।' তাঁর আরও বক্তব্য, 'প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে মহিলা বিদ্বেষ স্পষ্ট। তিনি দিদিকে তাচ্ছিল্য, অপমান করছেন, দেশের মহিলাদের রক্ষার জন্য দেশে আইন রয়েছে। আইনে আস্থা-ভরসা রয়েছে। নির্ভয়াকাণ্ডের পর আইন আরও স্পষ্ট হয়েছে। বিচার হবেই। মানুষও এর বিচার করবেই।' বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পাল্টা, 'দিদি দুর্যোধন বলেন। দিদি রাবণ বলেন। দিদি যে শব্দ প্রয়োগ করেন, প্রধানমন্ত্রীও সেই ভাষায় কথা বললে ভালো হত কি? কত শালীনতার সঙ্গে দিদি বলেন, কত সম্মান করেন! তৃণমূল নেতাদের সেটা বোঝার মতো বুদ্ধি নেই। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক'।
আরও পড়ুন: WB assembly election 2021 : বিজেপিকে পাল্টা চাপ, মমতার হয়ে প্রচারে মেগা তারকা 'বাংলার মেয়ে' জয়া
নন্দীগ্রামে ভোট নিয়ে তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, 'আপনার হাতে লেখা চিঠিতে করা অভিযোগ তথ্যগতভাবে ভুল। এবং অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণও নেই।' মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, নন্দীগ্রামে বয়াল অঞ্চলের ৭ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটে মদত দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পোলিং অফিসাররা। ভোটের দিন বুথে বসেই তিনি নিজে হাতে চিঠি লিখেছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই একেবারে 'মিনিটস' ধরে ধরে কড়া জবাব দিয়েছে কমিশন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় সোজাসাপ্টা প্রতিক্রিয়া, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকেই বিশ্বাস করেন না। ভারতের সংবিধান নয়, রাজ্যে মমতা-সংবিধান চলে। বাংলায় ভারতীয় সংবিধানকে কার্যকর করার জন্যই বিজেপিকে দরকার'। বললেন, 'মানুষ ঠিক করে ফেলেছেন, মমতার সরকারকে বিদায় দেবেন। তাই তৃণমূলের বক্তব্যের আর কোনও গুরুত্ব নেই'।