ভোটের আগে পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে নতুন আইন আনছে রাজ্য সরকার
ওয়েব ডেস্ক : ভোটের আগে পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে নতুন আইন আনছে রাজ্য সরকার। এতদিন, এ বিষয়ে কোনও আইন ছিল না। ছিল কেবলমাত্র সরকারি নিয়ম। দুর্নীতির রাস্তা বন্ধ করতে, স্বচ্ছতা আনতে, দ্রুত অনুমোদন দিতে নতুন আইন মানুষকে সাহায্য করবে বলেই মনে করছে নবান্ন।
গ্রামে বাড়ি তৈরিতে নতুন নিয়ম-
১) বাড়ির অনুমোদন আর শুধুই গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে নয়
২) আয়তন-উচ্চতা অনুযায়ী অনুমোদনে পঞ্চায়েত সমিতি-জেলা পরিষদ
নতুন আইন করছে রাজ্য সরকার। বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে পঞ্চায়েত বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন বিল। নতুন আইনে গ্রামাঞ্চলে বাড়ির অনুমোদনের বিষয়টি পঞ্চায়েতের তিন স্তরে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
বাড়ির আয়তন দেড়শো বর্গ মিটার পর্যন্ত হলে আর উচ্চতা সাড়ে ছয় মিটারের মধ্যে থাকলে এতদিন পরিদর্শন, অনুমোদন, ফি আদায়ের ভার ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে। নতুন আইনেও তাই-ই থাকছে।
আয়তন দেড়শো বর্গ মিটারের বেশি কিন্তু তিনশো বর্গ মিটারের কম ও উচ্চতা সাড়ে ছয় মিটারের বেশি। এক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী পরিদর্শনের ভার জেলা পরিষদের। অনুমোদন, ফি আদায় গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে। নতুন আইনে সবটাই চলে যাচ্ছে পঞ্চায়েত সমিতির আওতায়। বাড়ি তিনশো বর্গ মিটার, উচ্চতা পনেরো মিটারের চেয়ে কম হলে নয়া আইনে সব ক্ষমতা থাকছে জেলা পরিষদের হাতে।
বাড়ির আয়তন তিনশো বর্গ মিটারের বেশি, উচ্চতা সাড়ে ছয় মিটারের চেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে, বর্তমান বিধি অনুযায়ী পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকে পঞ্চায়েত দফতর। অনুমোদন, ফি আদায়ের ভার গ্রাম পঞ্চায়েতের। নয়া আইনে পরিদর্শন, প্ল্যান খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নেবে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি পঞ্চায়েত দফতরের বিল্ডিং কমিটি। জেলাশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে অনুমোদন, ফি আদায়ের ভার থাকবে জেলা পরিষদের হাতে।
পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ির অনুমোদন পেতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যাতে কমে, সে ব্যবস্থাও থাকছে নতুন আইনে। গ্রাম পঞ্চায়েত ১৫ দিনের মধ্যে অনুমতি না দিলে, পঞ্চায়েত সমিতি ৩০ দিনের মধ্যে অনুমতি না দিলে এবং জেলা পরিষদ ২ মাসের মধ্যে অনুমতি না দিলে নোডাল অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। নোডাল অফিসারের কাছে যাওয়ার আগে প্রতিটি ক্ষেত্রেই BDO-র কাছে দাখিল করা যাবে অভিযোগ।
গ্রামাঞ্চলে বাড়ি তৈরিতে দুর্নীতি বন্ধে নতুন আইনে থাকছে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তা। জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে মহকুমাশাসক সরাসরি বেআইনি বাড়ি ভেঙে দিতে পারবেন। অভিযোগ এলে, আগে তৈরি হওয়া বাড়ির নথি নতুন আইনে খতিয়ে দেখার সংস্থান রাখা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামে বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনে সরকারি অফিসারদের হাতে দেওয়া হচ্ছে আরও বেশি ক্ষমতা।
আরও পড়ুন- সোনাগাছিতে পুজো নিয়ে আকচাআকচি চলছেই, তবুও আশাবাদী দুর্বার