Jagdeep Dhankhar: বিধানসভায় রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভের জের, স্পিকারকে ডেকে পাঠালেন ধনখড়
গতকালই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তোলেন রাজ্যপালকে শারীরিক হেনস্থা করেছেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার বাজেট অধিবেশে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে প্রায় ভেস্তে যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বক্তব্য পাঠ। সাংবিধানিক সমস্য়া থেকে সরকারকে বাঁচাতে কোনওক্রমে তাঁর বক্তৃতার প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। ওই ঘটনার জেরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন জগদীপ ধনখড়। আগামী ৩ দিনের মধ্য়ে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে হবে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে।
মঙ্গলবার একটি চিঠি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে লেখা হয়েছে সোমবার বিধানসভা বাজেট অধিবেশনে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়েই তিনি স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। গতকাল এক টুইট করে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের জন্য তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদেরই একপ্রকার দায়ী করেন রাজ্যপাল। গতকাল এনিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারিও দেন, এরকম ঘটনা যেন আর কখনও না হয়।
এদিকে, গতকালই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তোলেন রাজ্যপালকে শারীরিক হেনস্থা করেছেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপালকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশেই এমন কাণ্ড হয়েছে। তবে পাল্টা বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আজ নজরুল মঞ্চে দলের অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, কাল দেখেছেন বিধানসভায় বিজেপি কীভাবে অসভ্যতা করেছে? অসভ্যের দল। মহিলারা কাল লিড দিয়েছে। মহিলাদের ওরা অনেক অপমান করেছে। অনেক অকথা কু-কথা বলেছে। গতকাল আমাদের মহিলা ব্রিগেড গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করেছে।
WB Guv:
Urged Speaker WBLA for a meeting in next three days in view of “unseemly ruckus and chaotic spectacle unfolded in the hallowed precincts of the august WB Assembly on March 07 during Governor Address under article 176 when decorum and propriety nosedived to lowest nadir pic.twitter.com/gcz9OFUHqH
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) March 8, 2022
মমতার বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংবাদমাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে হাসি পাচ্ছে। প্রথমত তাঁর দলের সাংসদরা রাজ্যসভাতে কাচ ভেঙে, দরজা ভেঙে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে লোকসভার সদস্য হিসেবে স্পিকারের মুখে কাগজ ছুড়েছিলেন। আজও সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দেখা যায়। জয়প্রকাশ নারায়ণ একবার কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁর গাড়ির উপকে উদ্দাম নৃত্য করা হয়েছিল। আরও কী কী করেছিলেন তা আমি বলতে পারব না। উনি এখন বয়স্কা মহিলা। উনি যেসব আচরণ করেছিলেন তাঁর কাছ থেকে এই গণতন্ত্র, বিধানসভায় কী ধরনের আচরণ করতে হয় সেসব শুনে হাসি পায়।
অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, বিধানসভার মধ্য রাজ্যপালকে অপমান করা হয়েছে, তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। ইতিহাসে এমন ঘটনা নেই। এসব একমাত্র বাংলাতেই সম্ভব।
আরও পড়ুন-'একটা কীটাণু খসায় একটু শক্তি বাড়ল', জয়প্রকাশকে খোঁচা তথাগতর; সাহসী সিদ্ধান্ত: বাবুল