বারবার শিক্ষাঙ্গনই কেন হয়ে উঠছে শাসকদলের ক্ষমতা আস্ফালনের ক্ষেত্র?
শিক্ষাঙ্গন বারবার হয়ে দাঁড়াচ্ছে শাসক দলের পেশী আস্ফালনের জায়গা। কিন্তু কেন? মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সকলে বারবার বলছেন তাও দলের ছাত্ররা তো দূরের কথা বড় নেতাদের তা কানেও ঢুকছে না। গত কয়েকবছরে নানা ঘটনা অন্তত তেমনটাই বলছে।
গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজ। কলেজের ছাত্র সংসদ যাতে কংগ্রেসের হাতে না যায় তার জন্য মরিয়া শাসকদল। চলল গুলি, বোমা। মারা গেলেন পুলিশ অফিসার তাপস চৌধুরী।
হাওড়া হোম আইটিআই কলেজে হাওড়া সদরের টিএমসিপি সভাপতি অঞ্জন টাকির সঙ্গে কলেজের জিএস লিয়াকত আলির অনুগামীরা সংঘর্ষে জড়ায়। দুর্নীতির অভিযোগে অঞ্জন টাকিকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রাজারহাটের ডিরোজিও কলেজে। এখানেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী । তাও আবার বিধায়ক এবং সাংসদের গোষ্ঠীর কোন্দল ছড়াল কলেজের অন্দরে। ডিরোজিও কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি সব্যসাচী দত্ত। সদ্য সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা তাপস চ্যাটার্জী আবার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের লোক । দলে ঢুকেই তিনি দখল করতে চলে গেলেন ডিরোজিও কলেজ। হল ভাঙচুর, ঝরল রক্ত।
একই ঘটনা এবার আরও বড় হয়ে এবার ফিরে এল ফকিরচাঁদ কলেজে। বিধায়ক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে উস্কানি দিলেন তান্ডবে। তিনি আবার ওই কলেজেরই পরিচালন সমিতির সভাপতি। তবে বিধায়ক দীপক হালদারের দাবি তাঁর দলেরই কর্মাধ্যক্ষ ও ব্লক প্রেসিডেন্টের দিকে। যারা নাকি দীর্ঘদিন ধরেই কলেজে গন্ডগোল করছিলেন। আবার বিধায়কের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ব্লক সভাপতি উমাপদ পুরকাইত ও কর্মাধ্যক্ষ মনমোহিনী বিশ্বাসের। ফলে গোষ্ঠী দ্বন্দ এখানেও স্পষ্ট। আর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দের রেশ গড়াল কলেজে। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কলেজ।
কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কেন বারবার ছড়াচ্ছে শিক্ষাঙ্গন পর্যন্ত? কলেজ দখলে কী লাভ? উঠছে অন্য তত্ত্ব। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে টাকার গন্ধ। অভিযোগ ছাত্র সংসদ দখলে থাকলে ভর্তির সময় পাওয়া যায় টাকার বড় একটা অংশ।