দুর্বারের কেয়ারটেকারকে খুনের কারণ হিসেবে এ কী স্বীকারোক্তি ধৃত দুই কিশোরীর!

যৌনকর্মী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোতেই দুর্বারের কেয়ারটেকারকে খুন। পুলিসের কাছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি শিলিগুড়ি থেকে ধৃত দুই কিশোরীর। এক কিশোরীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিস। সোনাগাছিতে NGO সংস্থা দুর্বারের অফিসে কেয়ারটেকার হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। খুনের দায়ে শিলিগুড়ি থেকে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ফেরার দুই কিশোরী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের দাবি, যৌনকর্মী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় দুর্বার সংস্থার প্রতি আক্রোশবশতই কেয়ারটেকার কবিতা রায়কে খুন করে দুই কিশোরী। জেরায় এমনই স্বীকারোক্তি ধৃত দুই কিশোরীর। টাকার নেশা, নিজের মতো চলার চাহিদা থেকেই কলকাতায় আসা। এরপর সোজা প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটে পৌছে যাওয়া। কিন্তু অল্পবয়সী দুই কিশোরীকে দেখে যৌনকর্মীরা তাদের ফিরে যেতে বলেছিল। তাঁরাই খবর দেয় দুর্বার সংস্থায়। এরপর বৌবাজারের রেড লাইট এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে, নিজেদের অফিসে রাখে দুর্বারের আধিকারিকরা। কিন্তু যৌনকর্মী হওয়ার নেশায় বুঁদ দুই কিশোরী তা মানতে পারেনি।  এরপর সুযোগ পেয়েই, রাগে-আক্রোশে কবিতা রায়কে খুন করে দুর্বারের অফিস থেকে পালায় তারা। তাদের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে শিলিগুড়ির হোটেল থেকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিস। কোন পথে শিলিগুড়ি পালিয়েছিল তারা? পুলিসের দাবি, পয়লা নভেম্বর রাতে হত্যাকাণ্ডের পরদিন, দুপুর তিনটে পচিশের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরে মালদা পর্যন্ত যায় কিশোরীরা। সেখান থেকে এনজেপিগামী আরেকটি ট্রেনে উঠে পড়ে তারা।

Updated By: Nov 12, 2016, 04:37 PM IST
দুর্বারের কেয়ারটেকারকে খুনের কারণ হিসেবে এ কী স্বীকারোক্তি ধৃত দুই কিশোরীর!

ওয়েব ডেস্ক: যৌনকর্মী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোতেই দুর্বারের কেয়ারটেকারকে খুন। পুলিসের কাছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি শিলিগুড়ি থেকে ধৃত দুই কিশোরীর। এক কিশোরীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিস। সোনাগাছিতে NGO সংস্থা দুর্বারের অফিসে কেয়ারটেকার হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। খুনের দায়ে শিলিগুড়ি থেকে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ফেরার দুই কিশোরী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের দাবি, যৌনকর্মী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় দুর্বার সংস্থার প্রতি আক্রোশবশতই কেয়ারটেকার কবিতা রায়কে খুন করে দুই কিশোরী। জেরায় এমনই স্বীকারোক্তি ধৃত দুই কিশোরীর। টাকার নেশা, নিজের মতো চলার চাহিদা থেকেই কলকাতায় আসা। এরপর সোজা প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটে পৌছে যাওয়া। কিন্তু অল্পবয়সী দুই কিশোরীকে দেখে যৌনকর্মীরা তাদের ফিরে যেতে বলেছিল। তাঁরাই খবর দেয় দুর্বার সংস্থায়। এরপর বৌবাজারের রেড লাইট এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে, নিজেদের অফিসে রাখে দুর্বারের আধিকারিকরা। কিন্তু যৌনকর্মী হওয়ার নেশায় বুঁদ দুই কিশোরী তা মানতে পারেনি।  এরপর সুযোগ পেয়েই, রাগে-আক্রোশে কবিতা রায়কে খুন করে দুর্বারের অফিস থেকে পালায় তারা। তাদের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে শিলিগুড়ির হোটেল থেকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিস। কোন পথে শিলিগুড়ি পালিয়েছিল তারা? পুলিসের দাবি, পয়লা নভেম্বর রাতে হত্যাকাণ্ডের পরদিন, দুপুর তিনটে পচিশের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরে মালদা পর্যন্ত যায় কিশোরীরা। সেখান থেকে এনজেপিগামী আরেকটি ট্রেনে উঠে পড়ে তারা।

আরও পড়ুন তোলাবাজির দায়ে গ্রেফতার তৃণমূলের শ্রমিক নেতা!

ট্রেনেই আলাপ হয় এক যুবকের সঙ্গে। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে সাতশো টাকা নেয় ওই কিশোরীরা। এরপর ওই যুবককে সঙ্গে নিয়েই তারা পৌছয় শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায়। সেখানে একটি হোটেলে ওঠে তারা। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের হদিশ পেয়ে যায় বড়তলা থানার পুলিস। এরপরই গ্রেফতারি।

আরও পড়ুন দক্ষিণ আফ্রিকা তো অস্ট্রেলিয়াকে লজ্জায় ফেলে দিল!

.