National Medical College: কন্যাসন্তান হওয়ায় আত্মহত্যা? ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যুতে নয়া তথ্য
২৬ অক্টোবর, বুধবার ন্য়াশনাল মেডিক্যাল কলেজে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন আছিয়া বিবি। পরের দিনই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এদিন তাঁর দেহ পাওয়া যায় হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগের ভবনে পিছনে!
![National Medical College: কন্যাসন্তান হওয়ায় আত্মহত্যা? ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যুতে নয়া তথ্য National Medical College: কন্যাসন্তান হওয়ায় আত্মহত্যা? ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যুতে নয়া তথ্য](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/10/31/394787-baalalala.jpg)
পিয়ালী মিত্র: কন্য়াসন্তান হওয়ায় মানসিক অবসাদ? হাসপাতালের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা? ন্য়াশনাল মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মিলল নয়া তথ্য। যে ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ওই মহিলা, সেই ওয়ার্ডের অন্য রোগীদের সঙ্গে কথা বলল পুলিস। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
ঘটনাটি ঠিক কী? উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বাসিন্দা ছিলেন আছিয়া বিবি। ২৬ অক্টোবর, বুধবার কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেদিনই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন আছিয়া। সুপার জানিয়েছেন, 'গতকাল দুপুর ২ টো থেকে রোগীকে পাওয়া যায়নি'। বেনিয়াপুকুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
এদিন সকালে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেরই স্ত্রী রোগ বিভাগের ভবনে পিছনে পাওয়া যায় আছিয়া বিবির দেহ! দেহটি উদ্ধার পুলিসই। পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই গৃহবধূর হাত থেকে পিছনে থেকে বাঁধা ছিল। এমনকী, শরীর থেকে মাংস খুবলে নিলে যে ধরনের ক্ষত হয়, তেমন ক্ষতও ছিল দেহে! ঘটনাকে কেন্দ্র রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল হাসপাতালে।
কীভাবে মৃত্যু? পুলিস সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যারই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ, 'উপর থেকে পড়ে মৃত্যু'। বস্তুত, ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারী অফিসার। জানা গিয়েছে, 'কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। অন্য রোগীদের সেকথা বলেছিলেন আছিয়া। এই সন্তানকে রাখতে চাননি বলে জানিয়েছিলেন তিনি'। ফলে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার সম্ভাবনাই বেশি বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস।