দাম্পত্য টিকিয়ে রাখার সেরা পাঁচ মন্ত্র!
"যদিদং হৃদয় মম..." মন্ত্র পাঠ করে, অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সাতপাকে বাঁধা পড়াই হোক বা কাগজে কলমে সই-সাবুদের বিয়ে, আসল কথাটা হল Marriage Of Two (and True) Minds. বিয়ে বা দাম্পত্য হল জীবনের এক অসাধারণ রানওয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: "যদিদং হৃদয় মম..." মন্ত্র পাঠ করে, অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সাতপাকে বাঁধা পড়াই হোক বা কাগজে কলমে সই-সাবুদের বিয়ে, আসল কথাটা হল Marriage Of Two (and True) Minds. বিয়ে বা দাম্পত্য হল জীবনের এক অসাধারণ রানওয়ে।
কিন্তু, আজকের দিনে এই বিয়ে বা দাম্পত্য টিকিয়ে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগেও 'ডিভোর্স' বা 'সেপারেশন' এইসব শব্দগুলোর সঙ্গে খুব একটা পরিচয় ছিল না আম বাঙালির। কিন্তু আজকাল আখচার বিয়ে ভাঙার খবর পাওয়া যায় আত্মীয়-পরিজন, চেনাশোনা পরিধীর মধ্যে। এখন, প্রশ্ন হল কেন ভাঙছে বিয়ে? কোথায় সমস্যা?
কি করলে বিয়ে টিকবে এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সেই 'কঠিন' প্রশ্নেরেই ৫ টি সহজ সমাধান নিয়ে তৈরী চব্বিশ ঘন্টা ডট কম। এক নজরে দেখে নিন-
১) প্রথমেই মেনে নিন যে আপনারা দু'জন (স্বামী-স্ত্রী) দুটি ভিন্ন মানুষ। অধিকাংশ বিষয়েই আপনাদের নিজেস্ব মতামত রয়েছে এবং সেই মত যে পরস্পরের সঙ্গে মিলবে তাও নয় (মিললে তো খুবই ভাল, সমস্যাই রইল না)। তা্ই সেকোনও বিষয়েই একটা মধ্যপন্থা অবলম্বন করুন। মনে রাখবেন যে, এক হাতে কখনও তালি বাজে না, আর তাহলেই মতান্তর হলেও আপনাদের মনান্তর হবে না। সহাবস্থান সহজ হবে।
২) বিরোধ বাঁধার উপক্রম হলেই দু'জনের একসঙ্গে কাটানো আনন্দের মূহূর্তগুলোর কথা ভাবুন এবং অপরকে মনে করিয়ে দিন। প্রেম, কামনা, বন্ধুত্ব এইসব কিছু মিলেমিশেই তো এতটা পথ আপনারা এসেছেন, তাহলে খামখা 'কাট্টি' করে লাভ কি, বরং Love থাক আপনাদের শরীর-মন জুড়ে।
৩) দু'জনের মধ্যে বিবাদ হলে, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবদের জানাতে পারেন। তারা এই ব্যাপারে একজন তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে আপনাদের সমস্যাটা ঠিক কোথায় তা বুঝে আপনাদের গাইড করতে পারবেন। তবে, যাকে এই কথা বলছেন সে আপনার প্রকৃত শুভানুধ্যায়ী কিনা সেই বিষয়ে সুনিশ্চিত হয়ে নিয়ে এই সব শেয়ার করবেন।
৪) অশান্তি হলে, দু'জন একে অপরকে ছেড়ে কয়েকটা দিন কাটান। অনেক সময় এই স্বল্প দূরত্ব পরস্পরের প্রতি ভালবাসা ও আকর্ষণ ফিরিয়ে আনতে পারে।
এই লক্ষ্যণগুলিতে বুঝবেন আপনার সঙ্গী আপনার সম্পর্কে সত্যিই ভাবেন কিনা!
৫) যদি, আপনাদের সন্তান থেকে থাকে তাহলে তার কথাটা সবার আগে ভাবুন। কারণ জানবেন আপনাদের এই সমস্যা ওকে/ওদের বড্ড বেশি কষ্ট দেয়। একবার ভেবে দেখবেন, আপনাদের শৈশবে যদি আপনাদের বাবা-মা এর মধ্যে এইসব সমস্যা হত তাহলে আপনাদের কেমন লাগত? সন্তানের কথা ভেবে নিজেদের গুছিয়ে নিন।