World Environment Day: আগাগোড়া 'গ্রিন' থাকতে চান? এই ছ'টি উপায় মেনে চললেই হাতে-হাতে ফল...
World Environment Day: পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার মনোভাব এখন সকলের মধ্যেই অল্পবিস্তর আছে। সেই ভাবনাটাকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কী ভাবে? অ-প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যবহার কমিয়ে, পরিবেশবান্ধব জিনিসের ব্যবহার বাড়িয়ে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day)। পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের গুরু দায়িত্ব। এখন সকলের মধ্যেই পরিবেশ রক্ষা নিয়ে সচেতনতা কমবেশি বেড়ে উঠেছে। ঘরে-বাইরে সব জায়গার পরিবেশকে সুন্দর করে রাখার জন্য যতটা সম্ভব কৃত্রিম জিনিসের (Artificial things) ব্যবহার এড়িয়ে চলাই উচিত। কৃত্রিম জিনিসের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিবেশবান্ধব (Eco friendly) জিনিস পুর্নব্যবহার যোগ্য হওয়ায় এইগুলি টেকসই। এর পাশাপাশি এই জিনিসগুলির পরিবেশের পক্ষে কম ক্ষতিকারক। তবে এখন সবাইয়ের প্রায় পরিবেশবান্ধব জিনিস ব্যবহার করাটা বেশ ট্রেন্ডিং।
পরিবেশবান্ধব জিনিসের ব্যবহার আমাদেরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করবে। ফলে আমাদের পরের প্রজন্মের ভবিষ্য়ৎ আলোকিত এবং রোগমুক্ত হবে।
আসুন, পরিবেশ দিবসে আমরা আলোচনা করে জেনে নিই, কী কী পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহার করে আমরা ঘরের সৌন্দর্যকেও বাড়িয়ে তুলতে পারি, পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতিও কমাতে পারি।
আরও পড়ুন: shani dev: শনিদেবের কোপে পড়েছেন? জেনে নিন নিস্তার কোন উপায়ে!
সাসটেইনেবল মেটিরিয়াল (Sustainable Materials)-- এই ধরনের জিনিসপত্রের ব্য়বহার বাড়াতে হবে। যেমন, ঘরের আসবাবপত্র বা মেঝের জন্য বাঁশ, রিসাইকলড কাঠ, কর্ক বা পুনর্ব্যবহৃত কাচের মতো পরিবেশবান্ধব জিনিসগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃত্রিম জিনিসের তুলনায় পরিবেশের পক্ষে এগুলি ভালো।
ইনডোর প্ল্যান্ট (Indoor Plants)-- ঘরের ভিতরে ছোট ছোট গাছ লাগানো খুবই জরুরি। তবে তা শুধু সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে না, ঘরের ভিতরের আবহাওয়াকেও সতেজ রাখবে। ঘরে থাকা গাছগুলি প্রাকৃতিক হিউমিডিফায়ার হিসাবেও কাজ করবে। সবুজ চোখ ও মনের পক্ষে ভালো। মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে ইনডোর প্ল্যান্ট।
ভিন্টেজ আসবাব-- নতুন আসবাবপত্র না কিনে বরং পুরনো আসবাবপত্রকেই নতুন করে সাজিয়ে ব্যবহার করুন। এতে খরচও কমবে, আবার ঘরে একটা এথনিক লুকও আসবে।
ন্যাচারল ফেব্রিকস-- প্রাকৃতিক জিনিস থেকে সরাসরি ঘরোয়া ভাবে প্রস্তুত এমন টেক্সটাইল ব্যবহার করাই কাম্য। এই ধরনের জিনিস কেমিক্যালমুক্ত হওয়ায় তা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারকও হয় না। এছাড়া এগুলি বায়োডিগ্রেডেবল, তাই পরিবেশবান্ধব।
সৌরশক্তিচালিত জিনিসপত্র-- ইদানীং সৌরশক্তিচালিত জিনিসের ব্যবহার খুবই বেড়েছে। এগুলির ব্যবহার আগের চেয়ে অনেক সহজও হয়েছে। সোলার পাওয়ার ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। এর ফলে ইলেকট্রিক বিলও কম আসবে।