দ্রুত হারে বাড়ছে আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা! জলের নিচে চলে যেতে পারে উপকূলবর্তী শহরগুলি
বাতাসে যে হারে গ্রিন হাউসের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে দুই মেরুর বরফ গলবে অত্যন্ত দ্রুত হারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চরম গরমে তেতে উঠেছে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু। এর আগে কোনও দিনই গ্রীষ্মের সময়ও নাকি এইরকম তাপমাত্রা ওঠে না। দক্ষিণ মেরুর উত্তর প্রান্তের এসপ্যারেঞ্জা বেসের তাপমাত্রা এবার ছুঁয়েছে ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আন্টার্কটিকার ইতিহাসে প্রথম। যার ফলে আন্টার্কটিকায় বিশাল বিশাল বরফের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। এবং দ্রুত বরফ গলার সম্ভবনা রয়েছে। চির ধরতে শুরু করেছে গ্লেসিয়ার গুলিতেও। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আগামী ১০০ বছরে অন্তত ১০ ফুট সমুদ্রের জল উঠে আসবে।
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, সম্প্রতি মাপা হয়েছে আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা। যেখানে উষ্ণায়নের কারণে তাপমাত্রা রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। WMO-এর মুখপাত্র ক্লেয়ার নালিস জানিয়েছেন, “কোনও দিন গ্রীষ্মে তাপমাত্রা এতো বৃদ্ধি পায়নি। এই তাপমাত্রা গত তিন বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। পৃথিবীতে উষ্ণতা বাড়ার কারণে সুমেরুর থেকেও আগে কুমেরু গরম হচ্ছে।” তিনি আরও বলেছেন, “আগে বছরে যে হারে বরফ গলত, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ গুণ।”
আরও পড়ুন: ২৬০০ বছর আগে ইউরোপীয় মহিলার মমি মিশরে! রহস্য ভেদ করলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা!
২০১৫ সালে আন্টার্কটিকার একাংশের তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে যে হারে গ্রিন হাউসের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে দুই মেরুর বরফ গলবে অত্যন্ত দ্রুত হারে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি জলের নিচে চলে যাবে সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরগুলি।