আপনার ব্যবহারের প্রসাধনীগুলিতে এই ক্ষতিকারক উপাদানগুলি নেই তো!
কোনও প্রসাধনী পণ্য কেনার আগে তাতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভাল করে দেখে নেওয়া বা পরীক্ষা করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশির ভাগ মানুষই সবচেয়ে বেশি সচেতন নিজের মুখ নিয়ে। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারলেই বয়স যেন থমকে যাবে আপনার কাছে! মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সুন্দর মুখের প্রাথমিক শর্ত হল নিখুঁত, উজ্জ্বল ত্বক। আর এই নিখুঁত, উজ্জ্বল ত্বক পেতে আমরা বাজারে উপলব্ধ নানা রকম প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই সব প্রসাধনী পণ্যে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তা কি কখনও খতিয়ে দেখি?
একাধিক পরীক্ষায় প্রমানিত হয়েছে বাজার চলতি বেশির ভাগ প্রসাধনী পণ্যেই কৃত্রিম রং ও গন্ধ ব্যবহার করা হয়। আমাদের মুখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই মুখের ত্বকে এই সব ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত কৃত্রিম রং ও গন্ধ যুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। ত্বক ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ কিরণ লোহিয়া শেঠি তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর মতে, কোনও প্রসাধনী পণ্য কেনার আগে তাতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভাল করে দেখে নেওয়া বা পরীক্ষা করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: অকালেই টাক পড়ে যাচ্ছে! পাতে এই খাবারগুলি রাখলেই মুশকিল আসান!
ডঃ কিরণের মতে, কৃত্রিম সুবাস রয়েছে, এমন প্রসাধনী পণ্যই ক্রেতাকে বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এই পণ্যগুলির চাহিদাও বেশি থাকে। কিন্তু কৃত্রিম সুবাস যুক্ত এই পণ্যগুলিতে এমন অনেক রাসায়নিক মেশানো থাকে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ডঃ কিরণ আরও জানান, কৃত্রিম রং মেশানো রয়েছে এমন প্রসাধনী পণ্যও ব্যবহার করাও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কৃত্রিম রঙের জন্য ব্যবহৃত একাধিক ক্ষতিকারক উপাদানের প্রভাবে ত্বকে অ্যালার্জি, জ্বালা বা র্যাশ সৃষ্টি করতে পারে।
ডঃ কিরণের মতে, প্যারাবেন, থ্যালেট, ফর্মালডিহাইড রয়েছে এমন প্রসাধনী পণ্য না ব্যবহার করাই ভাল। তিনি জানান, বাজারে উপলব্ধ বেশির ভাগ শ্যাম্পু, ময়েশ্চারাইজার, ডিওডোরেন্টে এই ক্ষতিকর উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয়। এই সব রাসায়নিক যুক্ত প্রসাধনী পণ্য এড়িয়ে চলাই ভাল।