লকডাউনে মদ্যপানে লাগাম দেওয়া জরুরি; কড়া পদক্ষেপ নিক প্রশাসন! পরামর্শ WHO-এর
লকডাউনের সময় মদ্যপানের ফলে কমতে পারে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। বিঘ্নিত হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্যও। তাই এই পরামর্শ...
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কের জেরে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই জারি রয়েছে লকডাউন। লকডাউনের জেরে গৃহবন্দি বিশ্বের প্রায় সব মানুষ। কয়েকটি দেশেই ইতিমধ্যে শিথিল করা হয়েছে লকডাউনের বিধিনিষেধ। ভারতের কয়েকটি রাজ্যেও লকডাউনের নিয়ম শিথিল করে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO সাফ জানিয়ে দিয়েছে, লকডাউনে মদ্যপানে লাগাম টানা উচিত সমস্ত প্রশাসনের! প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নিক সব দেশের প্রশাসন!
লকডাউনের সময় মদ্যপানের ফলে কমতে পারে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। বিঘ্নিত হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্যও। তাই এই সময় মদ্যপান থেকে বিরত থাকই উচিত বলে জানিয়েছে WHO। এরই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রত্যেক দেশের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন মদ্যপান ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালীন মদ্যপানের ফলে বাড়তে পারে মানসিক অবসাদ, গার্হস্থ হিংসাও বৃদ্ধি পেতে পারে। নিয়েলসেনের সমীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, গত ১ মাসে আমেরিকায় মদ বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। তাই তড়িঘড়ি সব দেশে মদ্যপানে লাগাম দিতে কড়া নির্দেশ জারির পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বস্থ্য সংস্থা।
কয়েকদিন আগেই অসম ও মেঘালয় প্রশাসন ঘোষণা করেছিল রাজ্যগুলিতে মদ মিলবে। কেরল সরকারও বাড়ি বাড়ি মদ ডেলিভারির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মানলে ফের বন্ধ হতে পারে মদের দোকানগুলি।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচতে বার বার তো হাত ধুচ্ছেন! কিন্তু কতটা নিরাপদ আপনার এই হ্যান্ড ওয়াশ?
বিক্ষিপ্ত ভাবে সারা দেশে মদ না পেয়ে সুরাপ্রেমীরা এর আগে বারবারই ভুল পথ বেছে নিয়েছেন। কেউ কেউ অতিমাত্রায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে চিকিৎসাধীন হয়েছেন। কেউ আবার বার্নিশের রংকে মদের বিকল্প হিসেবে খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, গুগলে বাড়িতে কী ভাবে মদ বানানো যায় সেই প্রশ্নই সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে এই লকডাউনের সময়ে। এমন পরিস্থিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ আতঙ্ক ছড়াতে পারে সুরাপ্রেমীদের মনে।