Janmashtami 2022: দেশের একমাত্র মন্দির যেখানে রাধা নন, কৃষ্ণের সঙ্গী মীরাবাঈ!
সমগ্র ভারতবর্ষে একটিমাত্র মন্দির আছে যেখানে গোপালের পাশে দেখা যায় মীরাকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:
‘‘ওরে নীল যমুনার জল
বললে মোরে বল
কোথায় ঘনশ্যাম?’...
অসম্ভব ভালো কাব্যচর্চার ক্ষমতা ছিল তাঁর। আজও তাঁর ভজনে চোখের পাতা ভিজে যায় ভক্তদের। ভগবান কৃষ্ণের (Lord Krishna) নামের সাথে দুই নারীর নাম সকলের কাছে ভেসে ওঠে। একজনের নাম কৃষ্ণের সাথেই উচ্চারিত হয়। বলা হয়, তাঁকে ছাড়া গোপাল অসম্পূর্ণ। কিন্তু আরও একজন হলেন বিরহের পাষাণ প্রতিমা। শ্যামপ্রেমে স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেছিলেন রাজৈশ্বর্য। তিনি ভক্তিবাদের সাধিকা মীরাবাঈ (Mirabai)। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে রাজস্থানের কুড়কি নামক গ্রামে জন্ম হয় তাঁর। কথিত আছে ছোটবেলায় এক বিয়েবাড়িতে বরযাত্রী দেখে মীরা তাঁর মাকে প্রশ্ন করেছিলেন,’মা, আমার কবে এভাবে বর আসবে?’ তখন মীরার মা ছোট্ট মীরাকে বলেন,’ওরে তোর বরতো ঘরেই আছে। ঠাকুরঘরে গোপালকে দেখ। উনিই তোর বর।‘ মায়ের এই কথা শুনে ছোট্ট মীরা সত্যি ভেবে নিয়েছিলেন গোপাল তাঁর বর। ভালোবেসে ফেলেন গিরিধারীকে।
এই গল্পের বাস্তবতা কতটা, তা জানা নেই। তবে মীরা, কৃষ্ণপ্রেমের ছাপ তাঁর কবিতা-ভজনে রেখে দিয়ে গেছেন। কিন্তু তারপরও মীরার ঠাই হয়নি কৃষ্ণের সাথে, মাত্র একটি জায়গা বাদ দিয়ে। সমগ্র ভারতবর্ষে একটিমাত্র মন্দির আছে যেখানে গোপালের পাশে দেখা যায় মীরাকে। মন্দিরটি রাজস্থানের আমের জেলায় অবস্থিত। বিখ্যাত মন্দিরটির নাম জগৎ শিরোমণি। এই মন্দিরটি মহারাজা মানসিংহের প্রথম স্ত্রী মহারাণী কনকাবতী তাঁর পুত্র জগৎ সিংহের স্মরণে তৈরি করেছিলেন। সেই সময় মন্দিরটি নির্মাণের জন্য প্রায় ১১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। মন্দিরের নির্মাণ কাজ ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: Krishna Janmashtami 2022: জন্মাষ্টমী স্পেশাল! 'কানাই' সম্পর্কে যে কথা জানাই যায়..
সম্পূর্ণ মন্দিরের ভাস্কর্য ও সৌন্দর্য দেখলে অবাক হতে হয়। আমেরের উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত পাহাড়ের সাদা ও কালো মার্বেল ব্যবহার করে এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। দু’তলার স্তম্ভগুলির সুক্ষ্ম কারুকার্য, মন্দিরটির অন্যতম আকর্ষণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই মন্দিরে রাখা কৃষ্ণের প্রতিমাকেই এককালে মীরাবাঈ পুজো করতেন। রাজস্থানে এই মন্দির সম্পর্কে আরও অনেক গল্প প্রচলিত আছে। কথিত আছে, মুঘল সৈন্যরা কৃষ্ণের এই প্রতিমাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমেরের তৎকালীন শাসকরা সেই মূর্তিকে রক্ষা করে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে কৃষ্ণের ও মীরার অনুগামীরা এখানে ভিড় জমান। এছাড়াও এই মন্দিরের মীরার সাথে কৃষ্ণের মূর্তি একটি অনন্য আকর্ষণ হওয়ায়, সারা বছর এই মন্দিরে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)