জন্মাষ্টমী স্পেশাল: ভারতের বিখ্যাত কৃষ্ণ মন্দিরগুলি এক নজরে
এসে গেল জন্মাষ্টমী। সারা ভারতের কৃষ্ণ মন্দিরে সাজা সাজ রব। বৃন্দাবন থেকে গুজরাত, পুরী থেকে কেরল তৈরি হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের জন্মোত্সব পালনে। দেখে নেবো ভারতের কোথায় কোথায় রয়েছে বিখ্যাত কৃষ্ণ মন্দির।
ওয়েব ডেস্ক: এসে গেল জন্মাষ্টমী। সারা ভারতের কৃষ্ণ মন্দিরে সাজা সাজ রব। বৃন্দাবন থেকে গুজরাত, পুরী থেকে কেরল তৈরি হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের জন্মোত্সব পালনে। দেখে নেবো ভারতের কোথায় কোথায় রয়েছে বিখ্যাত কৃষ্ণ মন্দির।
রাধা রমণ মন্দির
আজ থেকে ৬০০ বছর আগে বৃন্দাবনে রাধা রমণ মন্দির স্থাপন করেন গোপাল ভট্ট গোস্বামী। বৈশাখি পূর্ণিমার দিন শালগ্রাম শিলায় তৈরি স্বয়ম্ভু বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
যুগল কিশোর মন্দির
কাশী ঘাটে যুগল কিশোর মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয় ১৬২৭ খ্রীষ্টাব্দে। এই ঘাটেই কাশী রাক্ষসকে বধ করেছিলেন কৃষ্ণ। তাই এই মন্দির কাশী ঘাট মন্দির নামেও পরিচিত।
রঙ্গজি মন্দির
শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরায় দক্ষিণ ভারতীয় নির্মাণ পদ্ধতিতে তৈরি রঙ্গজি মন্দির। এখানে কৃষ্ণ পূজিত হন শেষনাগের ওপর উপবেসিত বিষ্ণুর রঙ্গনাথন অবতারে।
বাঁকে বিহারী মন্দির
ত্রিভঙ্গ পদে দাঁড়ানো কৃষ্ণ পূজিত হন বাঁকে বিহারী মন্দিরে। স্বামী হরিদাস এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঝুলন ও জন্মাষ্টমী উত্সবের জন্য বিখ্যাত মন্দিরের ঘুম ভাঙে সকাল ৯টায়। শুধুমাত্র জন্মাষ্টমীতেই মঙ্গল আরতি গাওয়া হয় এখানে।
মদন মোহন মন্দির
বৃন্দাবনের অন্যতম প্রাচীন মন্দির মদন মোহন। যমুনা তীরে অবস্থিত মন্দির স্থাপিত হয়েছিল ১৫৮০ সালে। আদিত্য টিলার ওপর স্থাপিত মন্দিরের প্রকৃত নাম মদন গোপাল মন্দির। কথিত আছে এক বটগাছের নীচে মদন মোহনকে খুঁজে পেয়েছিলেন আদিত্য আচার্য।
নিকুঞ্জবন
শোনা যায় নিকুঞ্জবনে প্রায়ই আসতেন শ্রীকৃষ্ণ। নিকুঞ্জবন কোনও মন্দির নয়। শ্রীরাধিকার সঙ্গে এখানেই লীলাখেলায় মেতে থাকতেন তিনি। অসাধারণ গাছের ছায়ায় ঢাকা নিকুঞ্জবনে ভক্তরা সূর্যাস্তের পরই যেতে পারেন। কথিত আছে, রোজ সন্ধেবেলা এখানে গোপীদের সঙ্গে সময় কাটাতে আসেন কৃষ্ণ।
দ্বারকাধীশ মন্দির
কংস বধের পর দ্বারকাতেই নিজের রাজ্য স্থাপন করেছিলেন কৃষ্ণ। গুজরাতে প্রায় ২৫০০ বছর আগে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ মোট ৭২টি থামের ওপর তৈরি পাঁচতলা রাজধানী তৈরি করেন। রাজধানী এখন সমুদ্রের জলে আংশিক নিমগ্ন। এখানেই রাজত্ব করেছে যদু বংশ।
জগন্নাথ মন্দির
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কৃষ্ণমূর্তি অন্যান্য কৃষ্ণমূর্তির থেকে একেবারেই আলাদা। নিমকাঠের তৈরি জগন্নাথ এখানে ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে পূজিত। একাদশ শতকে রাজা অনন্ত বর্মন চোদাগঙ্গা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের অন্যতম পবিত্র ধর্মস্থান পূরী জগন্নাথ মন্দির। রথযাত্রার সময় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীর ভিড় হয় এখানে।
গুরুবায়ুর মন্দির
কেরলে অবস্থিত গুরুবায়ুর মন্দির ভুলোকা বৈকুন্ঠ নামেও পরিচিত। ধরিত্রী মায়ের ওপর বিষ্ণুর মাটির ঘরে স্থাপিত মন্দিরকে দক্ষিণ ভারতের দ্বারকাও বলা হয়ে থাকে। বিশ্বাস করা হয় এই মন্দিরে স্বয়ং ব্রহ্মা শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন।
প্রেম মন্দির
আধ্যাত্মিক গুরু কৃপালু মহারাজ বৃন্দাবনে প্রেম মন্দির স্থাপন করেন। মার্বেল পাথরে তৈরি অসাধারণ মন্দির সনাতন ধর্মশিক্ষার কেন্দ্রস্থলও। বিভিন্ন মূর্তিতে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিবরণ রয়েছে মন্দিরে। কৃষ্ণ এখানে বহুরূপে পূজিত।