Kerala: বাইকেই খাবারের দোকান! রোজগার-শখ দুটোই মেটাচ্ছেন কেরালার যুবক
বাইকে করেই দেশের ১০ রাজ্য এবং দুবার বিদেশ ভ্রমণ করে ফেলেছেন এই যুবক। সেই বাইকেই খুলেছেন খাবারের দোকান।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: সাল ২০২১, ১ এপ্রিল। নিজের জামাকাপড়, প্রয়োজনীয় সামগ্রী গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়লেন চাকরির সন্ধানে। বাহন হিসেবে সঙ্গে নিলেন ইয়ামাহা এফ জেড (Yamaha FZ)। সেই সময় ব্যাগে মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ২৩ বছর বয়সী জিবিন মধু। সেখান থেকে সম্প্রতি ওই বাইকে করেই দেশের ১০ রাজ্য এবং দুবার বিদেশ ভ্রমণও করে ফেলেছেন এই যুবক। বরাবরই দশটা-পাঁচটার চাকরির প্রতি জিবিনের ছিল চরম অনীহা। শুরু থেকেই ভেবে নিয়েছিলেন যে, এক চাকরি বেশিদিন করবেন না। নতুন নতুন জায়গায় ঘোরা এবং নতুন জিনিস খুঁজে বার করতে ভালোবাসতেন তিনি। এমনকী, এভাবেই উপার্জনের উপায় নিজেই খুঁজে বার করলেন জিবিন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সেখানেই গাড়ির মধ্যে খাবারের স্টল দিয়ে উপার্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Second Pregnancy: স্তন্যদানের মধ্য়েই গর্ভধারণ, সম্ভব? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
জিবিন মধু জানান, 'ছোটবেলা থেকেই দেশ-বিদেশে ঘোরা আমার স্বপ্ন ছিল। তাই বড় হওয়ার পর থেকেই বাড়ির কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে চলে যেতাম। যার জন্য বহুবার বাড়ির লোকজনের কাছে বকাও খেয়েছি'। তিনি আরও বলেন, 'ভেবেছিলাম পার্ট টাইম চাকরি পাওয়া সহজ হবে। তবে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাওয়ার পরই আমি বুঝতে পারি এটা সহজ নয়। দিনের পর দিন নানান লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বেশ কিছু লোক অবশ্য সাহায্যও করেছিল'। তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ এবং নেপাল ও মায়ানমার গিয়েছেন তিনি। সময় লেগেছে এক বছর তিন মাস সতেরো দিনের।
আরও পড়ুন: প্লেনে শিশুকে কোলে নিয়ে শান্ত করছেন কর্মী! এয়ার ইন্ডিয়ার স্টাফের ব্যবহার ভাইরাল
বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে চাকরি খোঁজ করা সহজ ছিল না। মাঝে একটি ধাবায় ও কাজ করেছিলেন তিনি। এরপর সিদ্ধান্ত নেন, বাইকেই একটি খাবারের স্টল দেবেন। সঞ্চয় বলতে ছিল, কিছু বাসন পত্র, সামান্য চাল, এবং অল্প টাকা। সেই দিয়েই দোকান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নুডুলস, রুটি, অমলেট ও চা ইত্যাদি বিক্রি করতেন তিনি। যে এলাকায় দোকান খুলেছিলেন জিবিন, সেই এলাকায় খাবারের দোকান ছিল না বললেই চলে। ফলে উপার্জনও ভালোই হচ্ছিল। এদিকে ছেলের সাফল্য গোপন থাকেন বাবা-মায়ের কাছে। ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেখতে পান তাঁরা। জিবিন মধু জানিয়েছেন, এখন এই খাবারের স্টল থেকে তিনি যা উপার্জন করে, সেই টাকা জীবনধারণ, এমনকী ঘোরার খরচ চলে যায়।