তুই কারও নীরা নয়, আমিও নই কোনও নীললোহিত
স্বরূপ দত্ত
আজ তুই প্রথমবার লেখার কথা বললি, আজ লিখব না!
আজ যমে শেষবার ডাকতে এলেও বলে দেব, আমি যাব না।।
আজ বিদ্যুত্ খেলছে আঙুলে, বুকের মাঝে চিনচিন।
শুকনো ফুসফুসে রঙ ধরেছে, পাতাবাহারের মতো রঙিন।।
আজ মনে হল, এই কথাগুলো তোর ঠোঁটেও হবে উচ্চারণ।
কীভাবে বোঝাই তোকে, প্রাণে ঠিক কতটা শিহরণ।।
তোর থেকে কত দূরে থেকেও মনের গতি আজ বড় অবাধ্য,
তোর ভাবনায় বাঁধ সাধবে, আজ সত্যিই নেই কারও সাধ্য।।
রোজই তো থাকি তোতে, নেশার রাতে, একা পথে।
আজ তোর মনের ঘরে আমারও গৃহপ্রবেশ, জীবন নেই বাধা গঁতে।।
সেই যখন তোর মনের অলি-গলির খোঁজ পেয়েছি,
বেঁচে থাকার জন্য আর কটা দিনের নতুন রসদ পেয়েছি।।
বুঝি তুই সবথেকে বড় শক্তি, ভুল চিরকালের সব বিজ্ঞান।
বুঝি না, তুই চুম্বকের কোন মেরু, যে তোর এমন অমোঘ টান!
রোজ রাতে তোর হলুদ খোলা পিঠে আমার মনের আঙুল চলে।
রাতপরীর উপন্যাস লিখে যাই, তোর নেশায়, আপন খেয়ালে।।
ঠিক জানি, একদিন এই প্রিয় উপন্যাসও শেষ হবে।
আমার হৃদয় হঠাত্ স্তব্ধ, কল্পনার কালি ফুরোবে।
সেদিন চলবে না আর আঙুল, লেখা পড়বে না আর।
আবহ সঙ্গীতটাই থাকবে না, নিঃশব্দ সেই বাজনার।।
বোকা বোকা কত কথা, কী যা তা বলে গেলাম।
শুধু এটুকু জানিস, এই লেখাটা তোর জন্যই লিখলাম।।
তুই কারও নীরা নয়, আমিও নই কোনও নীললোহিত - সুনীল।
আমার কোনও অস্ত্বিত্বই নেই, সবটাই তোর কায়-মনে বিলীন।।